| |
               

মূল পাতা ইসলাম গণিতের শিক্ষক যেভাবে হয়ে উঠলেন কাবার ইমাম


গণিতের শিক্ষক যেভাবে হয়ে উঠলেন কাবার ইমাম


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     14 July, 2021     02:51 PM    


পবিত্র কাবা শরীফের ইমাম হয়েছেন গণিতের এক শিক্ষক। তার নাম শায়খ ড. মাহির বিন হামাদ আল মুআকলি। জানা যায়, পড়াশোনার একপর্যায়ে তিনি মদিনায় গণিত বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। এরপর নিজের যোগ্যতা, পরিশ্রমে আর অধ্যবসায়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। সূত্র : আল-মারিফা ডটকম।

শায়খ মাহির ১৯৬৯ সালের ৭ নভেম্বর মদিনা নগরীর আল ওয়াজাহ নামক এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন। অবশ্য তাঁর মা-বাবা লোহিত সাগর তীরে সৌদির ইয়ানবু শহর থেকে সেখানে বসবাস শুরু করেন। মদিনা নগরীতে শৈশব ও কৈশোরের এক বর্ণাঢ্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি। ধার্মিক পরিবারে বড় হওয়ায় ইসলামী অনুশাসনের পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে পবিত্র কোরআন পাঠে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেন।

শায়খ মাহির মদিনা নগরীর টিসার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর গণিতের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। গণিতের জটিল অঙ্ক বুঝিয়ে ব্যাপক সুনাম কুড়ান। পাশাপাশি মদিনার বিভিন্ন মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তাই তাঁকে নিয়মিত পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের চর্চা করতে হতো। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি চার সন্তানের পিতা।

তিনি মক্কা নগরীর বালাত আশ শুহাদা স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। জনপ্রিয় বক্তা ও ইসলামের প্রচারক হিসেবে ব্যাপকভাবে সবার কাছে সমাদৃত হন। অতঃপর মক্কার প্রিন্স আবদুল মাজিদ স্কুলের স্টুডেন্টস কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মক্কার আবদুর রহমান আস সায়িদি মসজিদের ইমামও ছিলেন তিনি।

শায়খ মাহির ২০০৪ সালে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকাহ (ইসলামী আইনশাস্ত্র) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতকোত্তরে তিনি ‘ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ফিকাহ চর্চা’ বিষয়ে গবেষণা করেন। ২০১২ সালে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পিএইচডি ডিগ্রিতে বিচার ও দণ্ডবিধি বিষয়ে ইমাম আল শিরাজি (রহ.) লিখিত ‘তুহফাতুন নাবিহ শরহুত তানবিহ’ বইয়ের একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ রচনা করেন।

তিনি দুই বছর মসজিদে নববীতে তারাবির নামাজের ইমামতি করেন। এরপর ২০০৬ সাল থেকে দুই বছর তিনি ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে তিনি মক্কার মসজিদুল হারামে শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইসির সঙ্গে তারাবির নামাজের ইমামতি করেন। এই বছর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। প্রায় সময় তিনি ফজর ও মাগরিবের নামাজে ইমামতি করেন।

কাবা প্রাঙ্গণে জুমার দিন খুতবা দেওয়াসহ তিনি নিয়মিত নামাজের ইমামতি করেন। হজ পালন করতে আসা বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলিমদের কাছে তিনি সুন্দর তিলাওয়াতের জন্য পরিচিত।

/জেডও/