| |
               

মূল পাতা জাতীয় লুঙ্গি পরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী


লুঙ্গি পরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী


রহমত ডেস্ক     25 June, 2022     04:49 PM    


শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠেন প্রধানমন্ত্রী  ও তার গাড়িবহর। শনিবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় টোল দিয়ে সেতুতে ওঠার পর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের সাড়ে তিন হাজার বিশিষ্টজন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেইসব আমন্ত্রিত অতিথিদের একজন ছিলেন। শনিবার সকালে লুঙ্গি পরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। যথা সময়ের পূর্বেই তিনি সুধি সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

এ সময় তাঁর হাতে একটি পানির বোতল ও একটি ডায়রি ছিল। তাঁকে বহন করা হুইল চেয়ারটি এগিয়ে নিচ্ছিলেন একজন স্বেচ্ছাসেবক।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে গণমাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, জাতি গৌরবান্বিত, শেখ হাসিনা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। যেমনটা তাঁর বাবা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন ৭ মার্চে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, এই যে বিরাট কাজটা করেছে, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে ঠিক, কিন্তু এখানে বড়লোকেদের লাভ হবে বেশি, গরীবদের কম। এজন্য আমার দুইটা অনুরোধ থাকবে। প্রথমত. অ্যাম্বুলেন্সকে টোল ফ্রি করে দিতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, বিদেশিদের যেকোনো বাহন তা সে যেমন বাহনই হোক না কেনো তাদেরকে ডবল টোল দিতে হবে। কারণ এটা আমাদের কষ্টার্জিত পয়সায় আমাদের শ্রমে তৈরি হয়েছে।

শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, খুবই আনন্দ লাগছে। ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চের ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ঐতিহাসিক মুহূর্তই আমি মিস করিনি, এটা আমার সৌভাগ্য। আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমার জীবনের একটা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়েছে। আজ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন, আমি আমার প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো আরও মহানুভব হওয়ার জন্য। উনি ভালো কাজ অনেকগুলো করেছেন। ওনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। এখন আমাদেরকে নজর দিতে হবে প্রান্তিক মানুষের দিকে।

ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের হিউমারটা কমে গেছে। আমার প্রধানমন্ত্রী হিউমার করে বলেছেন “চুবাবো-উঠাবো” এটাকে এতো সিরিয়াসলি না নিলেও হতো। উচিত ছিল ওনাকে (খালেদা জিয়া) দাওয়াতটা দেয়া, জামিনটা দেয়া উচিত ছিলো, ওনাদেরও আসাটা উচিত ছিল। আমি সৎ পরামর্শই দেই সরকারকে, কিন্তু তারা আমার পরামর্শ নেন না। নিলে তারা ভালই করতেন (হাসি)।

পদ্মা সেতুর সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই। এছাড়া আমাদের শ্রমিক ভাই ও ইঞ্জিনিয়ার যাদের কঠোর পরিশ্রমে আমাদের পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ।