| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর বিদেশি ফল আমাদের কেন খেতে হবে? ভূমিমন্ত্রীর


বিদেশি ফল আমাদের কেন খেতে হবে? ভূমিমন্ত্রীর


রহমত নিউজ ডেস্ক     21 November, 2022     12:43 PM    


বর্তমান বৈশ্বিক সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিত্তবানদের আমদানি করা বিদেশি ফল না খেয়ে দেশি ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমি জানি না মৌসুমের সময় মৌসুমি ফল না খেয়ে বিদেশি ফল আমাদের কেন খেতে হবে? এখানে আমার সামনে যারা আছেন সালমান এফ রহমান ভাই, আহমেদ আকবর সোবহানসহ আপনাদের বিদেশি ফল পছন্দ। হয়তো বিদেশি ফল ছাড়া খেতে পারেন না। কিন্তু আমি সারা বছর দেশি ফল- জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা এগুলো খাই।

রবিবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-সিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়ে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ হোটেলে আয়োজিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন। বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেড সিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চুক্তি সই করে। এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

ভূমিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিতরা উচ্চ স্বরে হেসে ওঠেন। কেউ কেউ হাত তালি দিতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান নিজেও হাসতে হাসতে ভূমিমন্ত্রীর দিকে আঙুল নাড়িয়ে কিছু একটা বলেন।

এর মধ্যেই ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদেরকে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে অনুরোধ করবো, একটু কষ্ট করেন। আমাদের জায়গায় চলে আসেন। একটু দেখেন আমরা কীভাবে দেশি ফল খেয়ে আছি। আপনারাও আমাদের মতো অভ্যাস করুন। কয়েকটা মাস, এরপরে আবার খেতে পারবেন। আমের সিজনে আম খাবো জামের সিজনে জাম খাবো। এখন দেখি সারা বছর আম পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুর থেকে আম আসে, অস্ট্রেলিয়া থেকে আসে। আমিতো আম খাবো গ্রীষ্মকালে। এখন আমের সিজন নাই, এখন পেয়ারা পাওয়া যায়, এখন পেয়ারা খাবো। এটা খুবই আশ্চর্য, বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ফল ও খেজুর আমদানি হয়। দরকার আছে কি? দরকার আছে কি?

এ সময় উপস্থিত অতিথিরা মন্ত্রীর সঙ্গে সম্মতি জানিয়ে বলেন, না। আর মন্ত্রী বলেন নো নিড। প্লাস নট এসেন্সিয়াল আইটেম (অপ্রয়োজনীয় পণ্য)। এখন রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ, এসকার আরও কী কী শুনি। দরকার তো নেই। ঠিক আছে করছেন, সমস্যা নেই। দেশের জন্যই তো করছেন। পয়সা কামাচ্ছেন। বাট আপাতত একটু কষ্ট করি। আপাতত আমরা এগুলো ডিসকারেজ করছি।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরে খাদ্য সমস্যা ও ডলার সংকটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সমস্যার কারণে এখন ডলার নিয়ে সমস্যা দেখা দিলেও আগামী জানুয়ারিতে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের ফরেন কারেন্সিতে একটু চাপ পড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অন্যদের দৃষ্টিতে কমেছে। আমার দৃষ্টিতে রিজনেবল রিজার্ভ আছে। এটা এই কারণে আমি বলছি, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড অনুযায়ী তিন মাসের রিজার্ভ যথেষ্ট।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: