| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যেকোনো দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে: চরমোনাই পীর


ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যেকোনো দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে: চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ     06 May, 2024     12:00 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামবিদ্বেষী কতিপয় এনজিওদের অপতৎপরতায় ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। মুসলমান শিশুরা ভোরে মক্তবে কুরআন শিক্ষা করতো। শিশুদেরকে কুরআন বিমুখ করার লক্ষ্যে স্কুলগুলোকে ভোরে খুলে দিয়ে ইসলাম ও কুরআন শিক্ষা থেকে দূরে সরানোর জন্যে চক্রান্ত চলছে। কুরআনী ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যেকোনো দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে। এজন্য মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার কুরআনী মক্তব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড গঠন করেছেন এবং ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

গতকাল রাতে রাজধানীর ঐতিহাসিক আরমানিটোলা খেলার মাঠে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকুশি বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, হাজী এম.এ মান্নান, মুফতী ওয়ালীউল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন জেহাদী, মুফতী জিয়া বিন নূর। অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন, কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর  দক্ষিণ সভাপতি হাজী মো. মনির হোসেন, বাবুবাজার জুমা মসজিদের মুতাওয়াল্লী হাজী টিপু সুলতান, মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাজী মো. জাকির হোসেন রনি, বাকুশি বোর্ডের নির্বাহী সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ।

চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপদগামী হচ্ছে। অনেক মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। সামাজিক অবক্ষয়ের মারাত্মক অবনতির ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে যুবসমাজ। এতে দিন দিন বেড়েই চলছে অবাধ মেলামেশা। কিশোর গ্যাং বর্তমান সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানবিকতা, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষার অভাবে এমন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন। অন্যদিকে সমকামীতাকে প্রমোট করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। কারিকুলাম থেকে ইসলামী ভাবধারার গল্প, কবিতা বাদ দিয়ে রাম, রামায়ণসহ হিন্দুয়ানি সংষ্কৃতিকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে। এভাবে বিরানব্বইভাগ মুসলমানের শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ তুলে ধেয়া হয়েছে।

চরমোনাই পীর  বলেন, আদর্শ নাগরিক গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা সময়ের অনিবার্য দাবি। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শ নাগিরক হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সন্তানদেরকে কুরআন শিক্ষা এবং ইসলামী শিক্ষা দিন। অন্যথায় সামনে আমাদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।