| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ‘বিরোধী দল শক্তিশালী নয়’ সঠিক নয়’


‘প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ‘বিরোধী দল শক্তিশালী নয়’ সঠিক নয়’


রহমত ডেস্ক     17 April, 2022     11:26 PM    


জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিরোধী দল শক্তিশালী নয়- প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য সঠিক নয়। ১৯৯১ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। আমাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও আমরা আওয়ামী লীগের চেয়ে জনগণের অনেক কাছাকাছি থাকি।

আজ (১৭ এপ্রিল) রবিবার বিকালে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর যুবসংহতির সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির প্রমুখ।

জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশে সুশাসন ছিল। মানুষ নিরাপদে চলা-ফেরা করতে পারত। করোনা মহামারির পর দেশের অনেক মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে। সরকারকে তাদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষকে মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত ও অতিদরিদ্র শ্রেণিতে ভাগ করে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত না তাদের চাহিদা মিটছে, ততদিন এটি অব্যহত রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে ঋণ নিয়ে মেগাপ্রকল্প করা হচ্ছে। আমাদের রপ্তানি আয়ের চেয়ে অনেক বেশি আমদানি ব্যয় বেড়েছে। প্রতি বছর বিরাট অংকের ঘাটতি শুরু হলে রিজার্ভ এক বছরও চলবে না। ঋণের বোঝা, সুদ-আসল দেওয়া নিয়ে দেশ সমস্যায় পড়তে পারে। তবে আমরা এখনই শ্রীলংঙ্কা হয়ে যাব, তা বলছি না। যেহেতু ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, তাই এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। এ ছাড়া দেশের সিংহভাগ অর্থ স্বল্প সংখ্যক ধনীদের হাতে থাকায় গরীবদের আয় বিবেচনায় না এনে উন্নয়ন দেখানো বাস্তব সম্মত নয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে দেশে ‘শক্তিশালী’ বিরোধী দল না পাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‌‌‍‘শক্তিশালী বিরোধী দল আমরা পাচ্ছি না। অপজিশন বলতে যারা আছে, তার মধ্যে দুটোই হচ্ছে মিলিটারি ডিকটেটর, একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের হাতে গড়া। কাজেই ঠিক ওই মাটি ও মানুষের সঙ্গে যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কটা তাদের মধ্যে নেই। তাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল একটা ভোগের জায়গা। সেই ক্ষেত্রে আসলে অপজিশন তাহলে কোথায়? এখানে একটা পলিটিক্যাল সমস্যা কিন্তু আছে।’