| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল কার স্বার্থে, দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি শিক্ষার পরিবর্তে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে? 


কার স্বার্থে, দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি শিক্ষার পরিবর্তে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে? 


রহমত নিউজ     07 November, 2022     06:17 PM    


চলতি বছরের এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রণীত প্রশ্নপত্র ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। যা রীতিমতো ধর্মীয় উসকানির শামিল। এধরনের বিদ্বেষ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

তিনি বলেছেন, দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িকতা শিক্ষার পরিবর্তে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। কার স্বার্থে?  দেশের বাস্তবিক চিত্রও এমন নয়। ধর্মীয় নানা উৎসবে দল-মত নির্বিশেষে এ দেশের মানুষ সবাই অংশগ্রহণ করে। পাবলিক পরীক্ষায় অমূলক প্রসঙ্গ টেনে ধর্মীয় উসকানি দেওয়া হয়েছে। এতে সমাজে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পরবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মকে মুখোমুখি করা হয়েছে। মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেশ ত্যাগ করছে-এ সমস্ত তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধ বাড়ানো। তা না করে ধর্মকে সামনাসামনি করে ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করা হয়েছে। এমন প্রশ্ন ধর্মীয় উসকানি ও বিদ্বেষপূর্ণ।

আজ (৭ নভেম্বর) সোমবার দলের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশ্ন হলো-‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

ইউনুছ আহমাদ বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষা সিলেবাসে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী শিখছে? ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে কি ধারণা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্বে আসার পর থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে ইসলাম ও মুসলমানের বারোটা বাজানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী এ বছর দূর্গা পূজা মণ্ডপে গিয়ে বলেছিলেন ‘সনাতন ধর্ম ইসলাম ধর্মের চেয়ে ভাল’। যে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্ম ভাল, তার থেকে ইসলামের স্বার্থ রক্ষা করা কিভাবে সম্ভব? ভারতের মোদির সংষ্কৃতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে একটি চক্র মাঠে নেমেছে। তিনি এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্রে কারা কিভাবে এধরনের প্রশ্ন করে মুসলমান ও ইসলামের বিধান নিয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় সারাদেশে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়বে। শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আগামী ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েতে শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল সফলের জন্য সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।