| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘পদ্মা সেতু কোরবানিকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে’


‘পদ্মা সেতু কোরবানিকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে’


রহমত ডেস্ক     01 July, 2022     06:12 PM    


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পদ্মা সেতু কোরবানিকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, দূরদৃষ্টি, সততা, আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তার কারণেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এ সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

আজ (১ জুলাই) শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরাম ‘পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা; দেশীয় পশুতে কোরবানি, খামারিদের সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা কলেন। ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউল আহাদ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীতে আসতে এক সময় ফেরিঘাটে এসে দুই-তিনদিন অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে এখন আর ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বাড়িতে বা রাস্তায় কোরবানির পশু বিক্রি করলে কোন হাসিল দিতে হবে না। কেউ খামারিদের বাজারে এনে পশু বিক্রিতে বাধ্য করতে পারবে না। তবে, কোরবানির পশু বাড়িতে বিক্রি করলে নিকটবর্তী বাজার ইজারাদারও চাঁদা আদায়ের কথা বলতে পারবে না।

তিনি আরো জানান, যানবাহন চলাচলে বিঘ্নঘটে এমন কোনো স্থানে পশুর হাট বসতে পারবে না। নির্ধারিত জায়গায় হাট বসবে। প্রতিটি স্বীকৃত হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল ব্যবস্থাপনা থাকবে। অস্বাস্থ্যকর ও রোগগ্রস্ত পশু বেচাকেনা না হয়, সেব্যাপারেও থাকবে কঠোর নজরদারি। হাটে বিনামূল্যে পশু পরীক্ষার ব্যবস্থার পাশপাশি আর্থিক লেনদেনের জন্য স্মার্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকবে। এভাবে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ভোক্তার জন্য একটি নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।