| |
               

মূল পাতা ইসলাম জুমার বয়ান ‘বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন; আল্লাহ খুশি হবেন’


‘বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন; আল্লাহ খুশি হবেন’


রহমত ডেস্ক     24 June, 2022     06:20 PM    


রাজধানীর ঢাকার সাভারস্থ জামিয়া সিদ্দীকিয়া যাদুরচরের সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, বৃহত্তর সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিপুল সংখ্যক অসহায় মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছে। বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন; আল্লাহ খুশি হবেন। শুধু নামাজ, রোজাসহ অন্যান্য বিধিবদ্ধ ইবাদত পরকালে নাজাতের জন্য যথেষ্ট নয়। যারা সমাজের অসহায় বন্যাদুর্গত গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ায় না; তারা আল্লাহ ও তার রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কখনোই প্রিয়ভাজন হতে পারবে না। আজ (১০ জুন) শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন,  বিপদগ্রস্থ মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা অনেক সওয়াবের কাজ। নগদ টাকা পয়সা, খাদ্য, বস্ত্র, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ যার যা কিছু আছে, তা নিয়েই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা ঈমানী দায়িত্ব ও নববী আদর্শ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে কাপড় দান করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের পোশাক দান করবেন। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের সুস্বাদু ফল দান করবেন। কোনো তৃষ্ণার্ত মুসলমানকে পানি পান করালে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের সিলমোহরকৃত পাত্র থেকে পবিত্র পানীয় পান করাবেন।’ (সুনান আবু দাউদ)।

তিনি বলেন, খেদমাতে খালক্ব বা সৃষ্টির সেবা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান ও ইবাদত। এ ব্যাপারে ত্রুটি হলে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে জিজ্ঞাসিত হতে হবে। তাই যে যেখানেই আছেন; সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন। মহল্লার যুবকরা সংগঠিত হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করে আমানতদারিতার সাথে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করুন।  মহাগ্রন্থ আল কোরআনের "সূরা কসাস" এর ৭৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা মানুষের প্রতি তেমন অনুগ্রহ কর (সাদক্বাহ বা যে কোন উপায়ে) যেমন আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব একটি মুসিবত দূর করবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার মুসিবতসমূহ দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষকে সচ্ছল করে দিবে, রব্বে কারীম তাকে ইহকাল ও পরকালে সচ্ছল করে দিবেন এবং আল্লাহ বান্দার সাহায্য করবেন যদি বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে।" (সহীহ মুসলিম)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন। আমিন।