| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব ১২ মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান


ফাইল ছবি

১২ মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান


মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক     10 February, 2024     04:45 PM    


নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই বড় স্বস্তি পেলেন জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো সংক্রান্ত ১২টি মামলায় জামিন পেলেন তিনি। একই মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও।  

পাকিস্তানের অ্যান্টি-টেররিজম কোর্টের তরফে ইমরান খান ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১২টি মামলায় জামিন দেওয়া হয়। গত বছরের মে মাসে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা সংক্রান্ত মামলাতেই জামিন পেয়েছেন ইমরান।

গত বৃহস্পতিবার ছিল পাকিস্তানের নির্বাচন। জেলবন্দি থাকায় এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তরফেও ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বৈধতা বাতিল করে দেওয়া হয়। ইমরানের দলের কর্মী-সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবেই লড়েছেন। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এখনও অবধি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়নি। তবে প্রাথমিক গণনায় এগিয়ে রয়েছেন পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরাই। তবে একক সংখ্য়াগরিষ্ঠ দল হিসাবে এগিয়ে রয়েছে নওয়াজ শরিফের দলই। সূত্র, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে এগিয়ে থাকা পিটিআই যখন সরকার গঠনের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে, তখনি এ রায় দিলেন আদালত। তবে এসব মামলার বাইরে তোশাখানা মামলায় সাজাভোগ করছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।  

শনিবার ইসলামাবাদ এটিসির বিচারক মালিক ইজাজ আসিফের আদালত শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন।  ইমরান ও কুরেশীর বিরুদ্ধে এসব মামলার সবগুলোই গত ৯ মে দাঙ্গার ব্যাপারে দায়ের করা। সেদিন ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পিটিআই নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেনানিবাস এবং সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়।

কী ঘটেছিল সেইদিন? 
গত বছরের ৯ মে পাকিস্তানের একাধিক সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর অভিযোগে ইমরান খান ও পিটিআইয়ের নেতাদের বিরুদ্ধে। ইসলামাবাদ থেকে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে প্যারামিলিটারি রেঞ্জার্স। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাওয়ালপিন্ডিতে সেনার সদর দফতর সহ প্রায় ২০টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। লাহোরের কর্পস কম্যান্ডারের বাড়ি, শাদমান পুলিশ স্টেশনেও হামলা হয়। শতাধিক পিটিআই কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলাতেই অভিযুক্ত ছিলেন ইমরান।