| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘মনে হয় যে সরকারের ইচ্ছা যেকোনো অধিকারভিত্তিক সংগঠন কাজ না করুক’


বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

‘মনে হয় যে সরকারের ইচ্ছা যেকোনো অধিকারভিত্তিক সংগঠন কাজ না করুক’


রহমত নিউজ ডেস্ক     24 September, 2023     12:40 PM    


বাংলাদেশে মানবাধিকার, সুশাসন ও অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলো কাজ করতে গিয়ে সরকারি নিয়ম-কানুন ও মনিটরিংয়ের নামে বহুমাত্রিক চাপের মধ্যে পড়েছে। মূলত অধিকারভিত্তিক এনজিওগুলোকে বিদেশি তহবিল থেকে অর্থ ছাড় পেতে ইদানিং ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে গেছে যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতো পরিচিত সংগঠন তাদের বেশকিছু কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। সীমিত আকারে যেসব প্রকল্প চলছে সেখানেও তাদের কর্মীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে পারছে না। অর্থছাড় বিড়ম্বনা ও অধিকার ভিত্তিক সংগঠনগুলোর ব্যাপারে সরকারের ‘কঠোর মনিটরিং’ নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিবিসির কাছে।

বিদেশি বিভিন্ন দাতাসংস্থার অর্থায়নে অধিকারভিত্তিক সংগঠনগুলো তাদের বাংলাদেশে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে। অধিকারভিত্তিক বেশ কয়েকটি এনজিওর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে প্রকল্পের অর্থছাড় করতে গিয়ে সংগঠনগুলি জটিলতার মধ্যে পড়ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানাচ্ছে যথাসময়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অর্থছাড় না করায় তাদের অনেক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। নারীদের সহায়তায় সংস্থাটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এখন ব্যহত হচ্ছে অর্থের অভাবে।

সংকটে অধিকারভিত্তিক এনজিও
নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন, গুম, বিচারবহির্ভুত হত্যা ও নারী নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সোচ্চার একটি বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধান এবং ধারাবাহিক সেটি জনসমক্ষে তুলে ধরার কাজ করে তারা। বেসরকারি সংস্থাটি এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বিবিসিকে বলেন, তিন মাস ধরে কর্মীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে পারেনি সংগঠনটি। সংগঠন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমরা অর্থছাড় পাচ্ছি না এনজিও ব্যুরো থেকে। এবং এটি যদি চলমান থাকে তাহলে আইন সালিশের মতো একটা সংগঠন আসলে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না। আমরা খুব সীমিত করে কাজ করে চেষ্টা করেছিলাম টিকে থাকার জন্য কিন্তু সাম্প্রতিকাকালে আর কোনো অর্থছাড় আমাদের হচ্ছে না। আমরা আমাদের অফিস স্পেস কমিয়ে ফেলেছি। অর্ধেকেরও কম অংশে চলে আসছি। তারপর অন্যান্য খরচ নেই। গত জুন মাস থেকে আসলে আমাদের কোনো সহকর্মীর অফিসিয়ালি চাকরি নেই। যারা কাজ করছেন একেবারেই একান্ত স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।”

শুধু আইন ও সালিশ কেন্দ্রই নয় প্রকল্পের অর্থছাড় জটিলতায় ভুগতে হয়েছে দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ই্ন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবিকেও। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানান, তাদের কার্যক্রমও বন্ধের উপক্রম হয়েছিল যথাসময়ে অর্থছাড় নিশ্চিত না হওয়ায়। আমাদের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে যে আমাদের বিলম্ব হয়েছিল। কিন্তু একটা পর্যায়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে এটি আমাদের কতখানি গুরুত্বপূর্ণ এবং বন্ধ হলে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেটি অনুধাবনের পর আমাদের ক্ষেত্রে প্রথমে আংশিক এবং পরবর্তীতে বর্তমান মেয়াদের পুরো অর্থ ছাড় করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রণে ‘অদৃশ্য’ শক্তি!
বেসরকারি সংস্থার অর্থ ছাড় এবং তাদের অডিট রিপোর্ট মূল্যায়ন, প্রকল্প ব্যায়ের পর্যালোচনা এবং তদারকি করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্ত এ সংস্থার মহাপরিচালক দাবি করেন অর্থছাড়ে কোনো সংস্থাকে বেকায়দায় ফেলা বা হয়রানি করার তাদের উদ্দেশ্য নয়।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো: মনিরুজ্জামান বলেছেন, তবে অর্থছাড় করার আগে তাদের অনেকগুলো বিষয় নিশ্চিত হতে হয়। প্রকল্পের অর্থ কী কাজে ব্যয় হবে, যে প্রকল্পের অর্থ সেখানে ব্যয় হচ্ছে কিনা সেটি তারা নিশ্চিত হন। প্রকল্পের অর্থ ধাপে ধাপে ছাড় করা হয়। কিন্তু অধিকার ভিত্তিক সংগঠনগুলো বলছে নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করার পরেও যে বাস্তবতার মুখোমুখী তাদের হতে হচ্ছে সেটি হতাশা এবং উদ্বেগের। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অর্থছাড়ের বিষয়টি দেখেন কিন্তু অধিকারভিত্তিক এনজিওগুলোর বিদেশি তহবিল মনিটরিংয়ে সরকার বিশেষভাবে সচেষ্ট।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান বলেন, ব্যুরোর চাহিদামতো সব কিছু করার পরেও অর্থছাড় না হওয়াটা রহস্যের মতো।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা সবসময় প্রত্যাশা করি সবকিছুরই একটা জবাবদীহিতা থাকবে। সবকিছুরই একটা আইনগত ভিত্তি থাকবে। যাদেরকে টার্গেট করা হয়েছে তাদের সকল কাজের সকল তথ্যাবলী কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রকাশিত। এবং আমাদের সকল কাজের প্রতিবেদন আমরা সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে সরকারকে সবসময় সাবমিট করে থাকি। আমাদের কিন্তু গোপন করার কিছু নেই। এমন কোনো কর্তৃপক্ষের হাতে এই ধরনের সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার এখতিয়ার দেয়া উচিৎ না যারা প্রচলিত আইনকে বা দেশের আইন যেটা আছে বা আন্তর্জাতিক আইন আছে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাদের জন্য বাধ্যবাধকতা নেই। অনেক সময় সে প্রশ্নটা আমাদের মধ্যে আসে। আসলে কি যে সংস্থাগুলোর কথা বলা হচ্ছে এদের নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ব কি এমন কোনো কর্তৃপক্ষের হাতে যারা দেশের আইন বা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না বা তাদের মানতে বাধ্যবাধকতা নেই এমন প্রশ্ন ওঠাটা খুবই স্বাভাবিক।

পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা
অধিকারভিত্তিক বেসরকারি সংগঠনগুলো বর্তমান পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে অভিহিত করছে। মানবাধিকার কর্মীরাও এ ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়েছেন। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে সব সরকারের আমলেই মানবাঅধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের রোষানল পড়তে হয়। আবার তারা বিরোধী দলে থাকে তখন এই সংগঠনগুলোর তথ্য এবং সহায়তা নিয়ে থাকেন এটাও সত্য। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন গণতন্ত্র সুশাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে দিতে হবে।

প্রকল্পের অর্থছাড় এবং সরকারের নীতিগত অবস্থান নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, অনেক সংগঠনকে হয়তো বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু একটা ভয়ের মধ্যেতো রাখা হয়েছে। এখন বেসরকারি সংগঠন করতে গিয়ে অধিকার ভিত্তিক সংগঠন করতে গিয়ে আমার ব্যক্তিগত এবং আমার অনেক সহকর্মী একই কথা বলেন, মনে হয় যে সরকারের ইচ্ছা যে কোনো অধিকারভিত্তিক সংগঠন কাজ না করুক। আমার মনে হয় যে, তাহলে তারা বলেই দিক সেটা সরাসরিভাবে এই এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মাধ্যমে হয়রানি করার কী প্রয়োজন আছে।এনজিও তদারকির জন্য বর্তমান সরকারের আমলে পাশ হওয়া আইনেরও সমালোচনা করেন তিনি। ওই আইনের ১৪ ধারায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে অশালীন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়া শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে। এরকমভাবে যদি চলতে থাকে একটা সময় একটা বোবা সমাজে পরিণত হবে। গণতন্ত্রে মানুষ যদি কথা বলতে না পারে মানুষের যদি বাকস্বাধীনতা না থাকে সেটা ক্রমশ একনায়কতন্ত্রে কিন্তু পরিণত হয়। যেটার প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। এখন কিন্তু একজনের বাইরে আর কেউ কোনো কথা বলতে পারেন না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, “অর্থায়নের জন্য দাতাসংস্থাগুলো তৈরি বসে আছে। এবং সেটার জন্য প্রকল্পের অনুমোদনও আছে। কিন্তু সেটার জন্য যে ষান্মাসিক ছাড়করণ সেটা যেহেতু সুনিশ্চিত না আমি যথাসময়ে ছাড় করতে পারবো কিনা সেকারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার কোনো কাজ সম্পাদন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এক ধরনের স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে, অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে এবং এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে"।

উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, ধরেন এই সংগঠনগুলি যদি না থাকে তাহলে ক্রসফায়ার হবে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না। থানায় নিয়ে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফলবে এখন যে দুএকটা প্রশ্ন আমরা করছি দুএকটি ঘটনা সামনে আনছি সেগুলো আসবে না। প্রশ্নবিদ্ধ হবে না প্রশাসন বা সরকারের অন্যায় কাজগুলি। তখন কি হবে, কর্তৃত্ববাদ এমনভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবে সেটা একেবারেই ফ্যাসিজম।

সরকারের ‘নিবিড় মনিটরিং’
অধিকারভিত্তিক সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ছাড় নিয়ে গড়িমসি এবং জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে এক-দেড় বছর ধরে। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসার পর মানবাধিকার সংগঠনগগুলোর তহবিল মনিটরিংয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কয়েকদিন পর সরকারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সভায় অধিকার ভিত্তিক কয়েকটি এনজিওর বিদেশি তহবিল ‘নিবিড় মনিটরিং’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই তালিকায় “হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকার, আইন সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট এবং অন্যান্য কিছু এনজিওর কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে এর বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দাবি করেন, সরকার অধিকারভিত্তিক সংগঠনগুলোর কাজে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে চায় না। অ্যাকাউন্ট সিস্টেমের মধ্যে আনার জন্যই এনজিও ব্যুরোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটা খুব নিবিড়ভাবে দেখেন। সেই কারণে কিছুটা হয়তো দেরি হয়। কিন্তু আমার মনে হয়না যে তাদের এখানে কাজ করার ব্যাপারে কোনো বাধা দেয়ার সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বা নীতি বা আন্ডার দ্য রেডার কোনো আলোচনা এটা নাই।

অধিকারভিত্তিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় তারা তিলকে তাল করার চেষ্টা করতেছে। তার কারণ হচ্ছে যে, এটা নিয়ে তারা বিদেশেও কমপ্লেইন করেছে এরকমও আমার কানে এসেছে। কিন্তু আসল বিষয়টা তা নয়। আসল বিষয়টা হচ্ছে, যে এখন এই এনজিওরা যে কাজটা করছে সেই অ্যাকাউন্টিবিলিটির ব্যাপারে সরকারের যে এনজিও ব্যুরো নিবিড়ভাবে কাজ করছে। মানি লন্ডারিংয়ের কমপ্লেইন পাওয়ার পর থেকেই কিন্তু আমরা এই এনজিওগুলির হিসাব নিকাশের ব্যাপারে কড়াকড়ি না ব্যাপারটা হচ্ছে নিয়ম মানছে কিনা সেটা দেখাটা আমরা নিবিড়ভাবে করছি। বেআইনিভাবে যদি সরকার কাউকে হয়রানি করে অবশ্যই তার আদালতে যাবার অধিকার আছে এবং সেখানে প্রতিকার পাওয়ার অধিকার আছে। এনজিও ব্যুরো সেটা মনিটরিং করবেই যে তারা কমপ্লায়েন্ট কিনা। সেই ব্যাপারে তারা যে কাজটা করছে সেই কাজটা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা। সেইখানে যে অর্থ ব্যয়ের কথা তারা বলেছে সেইখানে অর্থ ব্যয় হচ্ছে কিনা। সেটাতো দেখার দায়িত্বই হচ্ছে এনজিও ব্যুরোর সেটা তারা করবে।

আইনমন্ত্রীর ভাষায়, ভলান্টারি ডোনেশন আইনটা যে পরিবর্তন করা হলো এটা পরিবর্তন করার একটা বিরাট কারণ হলো মানি লন্ডারিং। কিছু কিছু এনজিও কিন্তু মানি লন্ডারিংয়ের জন্য দায়দায়িত্বে পড়েন। এরকম দেখা গেছে বলেই কিছু কিছু এনজিও আছে যাদেরকে হয়তো স্পেসিফিক এনজিও ব্যুরো একটু মনিটরিং করেন এবং আইনটাকে একটু কঠোর করা হয়েছে। এনজিওকে কাজ করতে দিতে সরকারের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু সবকিছুরই কিন্তু একটা আইনি কাঠামো আছে, সবকিছুই কিন্তু একটা বাউন্ডারির মধ্যে করতে হয়। সেটা হচ্ছে যে, যদি জাতীয় স্বার্থে, যদি রাষ্ট্রের স্বার্থে যদি কোনো এনজিও কাজ করে তাহলে পরে অবশ্যই এটা রাষ্ট্রের যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আছে, তারপরে এনজিও ব্যুরো আছে, অন্যান্য মন্ত্রণালয় হোম মিনিস্ট্রি আছে সেইসবেরতো দায়িত্ব হবেই যে এইসব এনজিও কী কাজ করছে সেগুলি দেখা।