| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল 'ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষ দুর্নীতিবাজ ও বিপথগামী হচ্ছে'


'ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষ দুর্নীতিবাজ ও বিপথগামী হচ্ছে'


রহমত ডেস্ক     21 November, 2022     10:34 AM    


-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর ও   চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষ দুর্নীতিবাজ ও বিপথগামী হচ্ছে। ইসলামী শিক্ষা না থাকলে চুরি, ডাকাতি, দুর্নীতি, মাদকসেবন ইত্যাদি অন্যায় কাজে জড়িয়ে মানুষ বিপথগামী হবে। ইসলামী জ্ঞান হলো হারাম, হালাল, ন্যায়-অন্যায় বুঝার একমাত্র মাপকাঠি। এজন্য আমরা বার বার বলে আসছি, দেশে চুরি, ডাকাতি, দুর্নীতিসহ যে কোন অপরাধ বন্ধ করতে হলো ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি, অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অসৎ উপায়ে মানুষ টাকা কামাচ্ছে। মৃত্যুর ভয় অন্তরে না থাকায় অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে মানুষ। তিনি বলেন, পরিশুদ্ধ জীবন যাপন করতে ইসলামের অনুশীলনের বিকল্প নেই।

 চরমোনাই পীর বলেন, আজ বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামকে ক্রমেই দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসলামী শিক্ষার পাবলিক পরীক্ষা না হলে সে বই কেউ পড়ে না। আমাদের দেশে সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষা রাখা হলেও পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে ইসলামী শিক্ষা কোন ছাত্র-ছাত্রী পড়ছে না। অপরদিকে বিশ্ব থেকে প্রত্যাখাত ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী মতবাদ শিক্ষা সিলেবাসে সংযোজন করে সরলমনা শিশুদের নাস্তিক্যবাদে ধাবিত করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেেেছ শিক্ষামন্ত্রী।

রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির বিশাল মুজাহিদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 চরমোনাই পীর বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে নামাজ পড়েন, কুরআন পড়েন বলে দাবি করেন। তিনি থানায় থানায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করছেন। এসকল মসজিদে কারা নামাজ পরবে, যদি ইসলামী শিক্ষা না থাকে।  এজন্য বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা বিরোধী শিক্ষা সিলেবাসে সংযোজন করে কাকে খুশি করতে চান? মোদির শিক্ষা সংস্কৃতি এদেশে চাপিয়ে দিলে, দেশবাসী তা মানবে? সময় থাকতে সিলেবাস সংশোধন করুন। সিলেবাসে কী শিখাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আপনি বইগুলো নিয়ে দেখুন। আমার মনে হয় আপনারও গাঁ শিখরে উঠবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত জাতীয় শিক্ষানীতির প্রাক-কথনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য, এই শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য দিক হলো-এখানে ধর্ম, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম ২০২১-এ  ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বাদ দিয়ে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা নামে ইসলাম শিক্ষাকে একপ্রকার উপেক্ষা করা হয়েছে যা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিপরীত, অধিকন্তু ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায়  ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বিষয় বাদ দেয়া হয়েছে, যা এদেশের ধর্মপ্রাণ  জনগণের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষানীতি-২০১০ এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত চরিত্র গঠনে সহায়তা করা।

তিনি বলেন, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অংশে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মনে  আল্লাহ, রাসূল সা. ও আখিরাতের প্রতি অটল ঈমান ও বিশ্বাস যাতে গড়ে ওঠে এবং তাদের শিক্ষা যেন আচার সর্বস্ব না হয়ে তাদের মধ্যে ইসলামের মর্মবাণীর যথাযথ উপলব্ধি ঘটে, সেভাবে ইসলাম শিক্ষা দেয়া হবে।