| |
               

মূল পাতা আরো তথ্য প্রযুক্তি ‘প্রযুক্তি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য’


‘প্রযুক্তি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য’


রহমত ডেস্ক     12 May, 2022     07:55 PM    


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য। দেশব্যাপী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি দক্ষ মানব সম্পদ এবং ডিজিটাল সংযোগ সহজলভ্য করতে সরকার কাজ করছে, ডিজিটাল সংযুক্তির প্রসার ও বিস্তারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

আজ (১২ মে) বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক সংস্থা এলায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেট আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এলায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের বাংলাদেশ বিষয়ক সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বেসিস’র সভাপতি রাসেল টি আহমদ এলায়েন্স ফর অ্যাফোর্ডেবল ইন্টারনেটের গ্লোবাল পলিসি বিষয়ক কর্মকর্তা এলিনোর এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী আনজু মাংগল প্রমুখ।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, পৃথিবীর কোন-কোন দেশ ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিযেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কেবলমাত্র শহরের মানুষের জন্য নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে। দেশের ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া বাকী সবগুলো ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগের আওতায় আসছে। ইন্টারনেটের মূল্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম। এখন ৬০ টাকায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউদথ পাওয়া যায়। অথচ ২০০৬ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিলো ৭৮হাজার টাকা এবং ২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা ।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন উদ্যোগের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের অধিকাংশ ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্য্ন্ডা নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি শতকরা ৯৮ভাগ এলাকায় ৪জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম এবং ৫জি চালু করা হয়েছে। দেশে গত চার বছরে সরকারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে স্যামসাংসহ ১৪টি ব্র্যান্ডের মোবাইল কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এর ফলে দেশে মোবাইলের মোট চাহিদার শতকরা ৭০ ভাগ এই সব কারখানার উৎপাদিত মোবাইল থেকে মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি মোবাইল কারখানার পাশাপাশি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কারখানা স্থাপনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার।