| |
               

মূল পাতা সারাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদিকে লাশ উপহার না দিলে কি হত না?


খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের প্রশ্ন

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদিকে লাশ উপহার না দিলে কি হত না?


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     27 March, 2021     07:34 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ গুজরাটের কসাই, ভারতে মুসলিম নির্যাতনের নেপথ্য নায়ক নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে আয়োজিত দেশের সর্বস্তরের শান্তিকামী জনতার প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশগুলোতে সরকারের দমননীতি, গুলি করে আন্দোলনকারীদেরকে হত্যা করার মত নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সরকারের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তারা বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যার হাত মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত এমন একজনকে আমন্ত্রণ এবং তাকে নিজ দেশের জনগণের লাশ উপহার না দিলে কি হত না?

২৭ মার্চ শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও সাধারণ সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, স্বাধীন ও শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যেমন জরুরি ঠিক তেমনিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজদের প্রতিহতকরণ, আগ্রাসন ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোও রাষ্ট্রীয় বিবেকের দাবি। কিন্তু সরকার রাষ্ট্রের মূল অনুসঙ্গ জনগণের মতামতকে সম্পূর্ণ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান নিয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, গত ২৩ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের উপর হামলা চালিয়ে সাংবাদিকসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে আহত করেছে ছাত্রলীগ। ২৫ মার্চ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং ৩৮ জনকে আটক করেছে। আর গতকাল বায়তুল মোকাররমে জুমার নামায পড়তে আসা মুসুল্লীদের উপর বিনা উস্কানিতে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীনদের লেলিয়ে দেয়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। তাদের ট্রেডমার্ক লগি-বৈঠার পাশাপাশি রামদা, দেশীয় অস্ত্র এমনকি পিস্তল নিয়েও আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তাদেরকে। প্রশাসন তাদেরকে বাধা দেয়ার পরিবর্তে সহযোগীর ভুমিকা পালন করেছে। হাটাহাজারীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালিয়ে ৪ জনকে শহীদ করা হয়েছে। এমনকি তাদের লাশও ফেরত আনতে দেয়া হচ্ছে না। সর্বশেষ রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনা জনমনে এই প্রশ্নটারই জন্ম দিচ্ছে তবে কি স্বাধীনতার মাসে ক্ষমতাসীনদের মন-মানসে ইয়াহিয়া খানের নিজ দেশের জনগণকে নিপীড়নের মত স্বৈরাচারি মানসিকতা ফিরে এসেছে?

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আটককৃত সকলকে মুক্তি প্রদান, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, শহীদদের লাশ সসম্মানে ফেরতদান, প্রতিবাদকারীদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় দেশের জনগণ স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা কামরাঙ্গীরচর