ভৈরবে গৃহবধূকে ধর্ষণ : যুবক গ্রেফতার ও মামলা

ভৈরবে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে নাঈম মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। সে পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ফালু মিয়ার ছেলে নাঈম। সে বিবাহিত যুবক।

বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে এলাকাবাসী আমলাপাড়া এলাকায় তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। ধর্ষিতা গৃহবধূ আমলাপাড়ার বাসিন্দা । তার স্বামী প্রবাসী। এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় , ধর্ষণকারী যুবক ও ধর্ষিতা গৃহবধূর পৈতৃক বাড়ী ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে। তবে তারা দুজনের পরিবার শহরের আমলাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। ধর্ষণকারী নঈম পেশায় একজন গাড়ী চালক। ধর্ষিতা গৃহবধূ স্থানীয় একটি কয়েল কারখানায় কাজ করে। তার স্বামী বিদেশে থাকায় প্রতিবেশী নাঈমের সাথে ধর্ষিতার আগেই পরিচয় ছিল। সে তাকে বিবাহ করতে চেয়েছিল কিন্ত ধর্ষিতার পরিবার রাজী হয়নি বলে স্বজনরা জানায়।

ধর্ষিতার মা ফাতেমা বেগম জানায় , মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ধর্ষিতা গৃহবধূ কয়েল কারখানা থেকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার সময় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নিকটে শহরের আবেদীন হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে নাঈম তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এসময় জনি নামের এক যুবক ও গাড়ীর ড্রাইভার গাড়ীতে তুলতে সহযোগিতা করে বলে গৃহবধূর অভিযোগ।

পরে তাকে নিয়ে যায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে। সেখানে নিয়ে অন্ধকারের মধ্য গাড়ীর ভিতরে তাকে ধর্ষণ করে নাঈম। তাকে ধর্ষণ শেষে মঙ্গলবার রাত ৯টায় ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকার রাস্তায় নামিয়ে নাঈম গাড়ীসহ পালিয়ে যায়। পরে গৃহবধূ রাত সাড়ে ৯টায় বাসায় পৌঁছে পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলে। এলাকাবাসীর মধ্য ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক নাঈমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করতে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
-জেড

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: