| |
               

মূল পাতা জাতীয় আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


রহমত নিউজ     02 March, 2024     01:15 PM    


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।

শনিবার (২ মার্চ) রাজশাহীতে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় বীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আকাঙ্খা ছিল বাংলাদেশের নামে সেনাবাহিনীতে একটি রেজিমেন্ট হবে। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ২০০১ সালে বাংলাদেশের নামে প্রথম রেজিমেন্ট বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করি। ২০০৯ সালে এই রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার এবং ২০১১ সালে মর্যাদাপূর্ণ  জাতীয় পতাকা প্রদান করি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে দেশের যে কোন প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাঁশে দাঁড়ায়।  

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিবারে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ সবকিছু উন্নত করে দিচ্ছি। দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেই আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও তারা অবদান রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক, স্মার্ট ও যোগ্য বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের শহিদদের স্মরণে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘বীর গৌরব’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।