| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে : ওবায়দুল কাদের


বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে : ওবায়দুল কাদের


রহমত নিউজ ডেস্ক     29 May, 2023     05:36 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নীলনকশা অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক বিবেচিত হবে না’ গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শপরিপন্থী এমন অপপ্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। একই সাথে নির্বাচন বানচালে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি প্রভুদেরকে তুষ্ট করার জন্য বিএনপি মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে।

 

আজ (২৯ মে) সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচার ও অর্বাচীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে নতুন নতুন নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোথাও নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়ে তার দোষ চাপাচ্ছে সরকারের উপর। কোথাও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে। আবার কোথাও পুলিশের উপর নিজেরাই বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশবাসী ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি-জামাতের ভয়াল দুঃশাসনের কথা ভুলে যায়নি। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়েও যেতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীও সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেহাই পায়নি। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে ৮ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত বিএনপি ক্যাডারদের হাতে সম্ভ্রম হারিয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি-জামাত জোট সরকার।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত ধারাবাহিক উন্নয়ন-অগ্রগতি ও প্রশংসনীয় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ^সভায় অনন্য মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী ও সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং বিশ্বশান্তি ও মানব মুক্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য কর্মপ্রয়াস বিশ্বরাজনীতিতে তাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি প্রভাবশালী রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন অভিধায় অভিষিক্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করেই আবর্তিত হয় আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম। জনগণই আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের নামই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিএনপি যত দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দেবে ততই তারা গণশত্রুতে পরিণত হবে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এদেশের  মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি প্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।