| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি সরকার মানুষকে জিম্মি করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে : দুদু


সরকার মানুষকে জিম্মি করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে : দুদু


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 January, 2023     03:44 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সরকারের পতন ছাড়া জনগণের মুক্তি অসম্ভব। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে বর্তমান আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের মানুষকে জিম্মি করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। জনগণের মুক্তির জন্য এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সকল উন্নয়নের প্রতিবন্ধক, ধ্বংসের কারণ হচ্ছে এ সরকার। এ সরকারকে যদি অপসরণ করা না যায়, তাহলে দেশ একসময় একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।

আজ (২৬ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাদির নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী ক‌মি‌টির সদস্য আবু না‌সের মো. রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন করির ব্যাপারী, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আরিফুর রহমান ও সাংস্কৃতিক দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউনুস, কিশোরগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক দলের আহ্বায়ক আলগীর হোসেন আলম ও জসিম মজুমদার প্রমুখ।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ফিরে আসবে না। ৫২ বছর আগে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। গণতন্ত্র ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ সরকার প্রতিনিয়ত দাবি করে, তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বিভিন্ন সূচক তারা দেখায়, কী কী ক্ষেত্রে তারা সাফল্য অর্জন করেছে। অথচ জাতিগতভাবে আমরা একটি চোরের জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি। এমন কোনো খাত নেই, যেখানে চুরি হয়নি। ব্যাংক লুটের ক্ষেত্রে আমরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি। যেসব বেসরকারি ব্যাংক সাফল্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ইসলামী ব্যাংক। সেটিকে একেবারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। যে ব্যাংক অন্যকে ঋণ দিতো, সেই ব্যাংক এখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। গণতন্ত্র লুণ্ঠনের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে, এখানে তথাকথিত নির্বাচন হয়। যে নির্বাচন সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়ার কথা, সেটি আগেরদিন রাত ১২টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে সংবিধানকে পদদলিত করা হয়েছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো কথা বললেই মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যে মামলার কোনো অস্তিত্ব নেই। বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর মামলার ক্ষেত্রে গায়েবি শব্দ এসেছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের অহংকার, শুধু দেশ বা দক্ষিণ এশিয়া নয়, সারাবিশ্বে ওনার মতো নেত্রী দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি আপোষহীন নেত্রী। যখন যে কথাটি বলেন, বুঝে শুনে বলেন এবং শেষ পর্যন্ত সেটি প্রতিষ্ঠা করেন। অথচ একটি নিরেট মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ চারটি বছর তাকে আটকে রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাধারণ জীবনের অধিকারী, বাবা রাষ্ট্রপতি ও মা প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তার ভেতর আমরা কখনও অহংকার দেখিনি। তিনি সব সময় দেশের জন্য কাজ করেছেন। তার অপরাধ হচ্ছে, তিনি গণতন্ত্র, স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ। তিনি মানুষের কথা বলেন, মানুষের জন্য লড়াই করেন। এ জন্য তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। যারা দেশের অহংকার, তাদের হয় জেলে, আর না হয় বিদেশে নির্বাসিত। তাই সকলকে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। এছাড়া মুক্তির আর কোনো বিকল্প নেই।