| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইএমএফের শর্তের বৈষম্যমূলক প্রভাব নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ


আইএমএফের শর্তের বৈষম্যমূলক প্রভাব নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ


রহমত নিউজ     06 November, 2022     02:38 PM    


বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, তার মধ্যে কিছু শর্তের বৈষম্যমূলক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী বৈশ্বিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। টিআইবি দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে নিজস্ব নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার টিআইবির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়।

জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি সংস্কারের কিছু শর্তের সম্ভাব্য অসম প্রভাবের বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবির মতে, শর্তের পুরো প্যাকেজকে এমনভাবে সাজানো উচিত, যাতে ইতিমধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাব আরও বেড়ে না যায়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ আলোচনায় আইএমএফ নিজস্ব নীতি বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কার্যকর কৌশলগত বিষয়ে মনোযোগ দিতে হতাশাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো না নিয়ে তৈরি করা শর্তের প্যাকেজের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জনের সম্ভাবনা কম। বরং ইতিমধ্যে অতিরিক্ত চাপে থাকা দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক প্রভাবের বাড়তি বোঝা তৈরি হবে। আইএমএফের ঋণ প্রদানের অপরিহার্য বাস্তবতা হচ্ছে তাদের দেওয়া শর্তসমূহ, যা কঠিন ও অপ্রীতিকর। এখন প্রশ্ন হলো, শর্তের প্যাকেজ কি জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয় নাকি তা জনগণের জন্য বিপরীতমুখী ফল বয়ে আনবে?

বিবৃতিতে বলা হয়, আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশের নিম্ন কর-জিডিপি অনুপাত নিয়ে উদ্বেগ যথার্থ। কিন্তু প্রধানত ভ্যাটের ওপর আইএমএফের প্রস্তাবিত কৌশলের নির্ভরতা উদ্বেগজনক, যার বৈষম্যমূলক প্রভাব সর্বজনবিদিত। অন্যদিকে আইএমএফের শর্তে কর ফাঁকি এবং অর্থ পাচার, বিশেষ করে মিথ্যা ঘোষণায় অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপের কোনো ইঙ্গিত নেই। দেশে ও দেশের বাইরে আর্থিক লেনদেনের তথ্যের স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের জন্য কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা সম্ভব হতো। আইএমএফ দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার রোধে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের সম্পর্কে যা প্রচার করে, তা অনুশীলনও করবে।