| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন শিক্ষা শুধু কোনও সনদ নেওয়ার প্রতিযোগিতা নয় : শিক্ষা উপমন্ত্রী


শিক্ষা শুধু কোনও সনদ নেওয়ার প্রতিযোগিতা নয় : শিক্ষা উপমন্ত্রী


রহমত নিউজ     31 October, 2022     03:55 PM    


শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষা শুধু কোনও সনদ নেওয়ার প্রতিযোগিতা নয়, কর্মজীবনের জন্য একমাত্র উদ্দেশ্যও নয়। প্রাথমিকভাবে যে বিষয়টি শিক্ষার মাধ্যমে, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে লাভ করি, সেটা হচ্ছে আমাদের মনোজাগতিক উন্নয়ন। এর জন্য দরকার, মনোজাগতিক পরিবর্তন, নৈতিকতার পরিবর্তন ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন। এই তিনটি বৈশিষ্ট্য আমাদের দীর্ঘ শিক্ষাজীবন শেষে যদি না আসে, তাহলে ধরে নিতে হবে শিক্ষাটা সত্যিকার অর্থে বৃথা ছিল।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের নেভি কনভেনশন সেন্টারে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সহ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা ও ট্রেজারার প্রফেসর এ কে এম তফজল হক। স্বাগত বক্তব্য করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট সদস্যরা, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, অর্থ কমিটির সদস্যরা, শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা, সব ডিন, রেজিস্ট্রার, সব বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষকরা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও স্থানীয়-জাতীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সমাবর্তনে ৫ হাজার ৬৯৭ গ্র্যাজুয়েট তাদের শিক্ষা সমাপনী সনদ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া ১৮ জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও ১৩ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটকে প্রদান করা হয় ডিন্স অ্যাওয়ার্ড।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, গ্র্যাজুয়েট যারা আজকের সমাবর্তনে উপস্থিত আছেন, সবার উদ্দেশে আমাদের নিবেদন হচ্ছে, আমরা দীর্ঘ শিক্ষাজীবন শেষেও সুনির্দিষ্ট পরিবর্তনগুলোকে গ্রহণ করে পুরো জীবনব্যাপী শিখে যাবো। আমাদের বর্তমান শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দর্শন হচ্ছে, লাইফ লং লার্নিং এবং লার্নিং হাউ টু লার্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ পেয়েছি বলেই অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মরত অবস্থায় যাঁরা আছেন, তাদের কাজের উন্নয়নে, পেশার উন্নয়নে, বৃত্তির উন্নয়নে সার্বিকভাবে অনেক কিছু শিখতে হচ্ছে।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি অনুরোধ থাকবে যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করার দক্ষতা ও বৃত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত নানা ধরনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার মানসিকতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে যেকোনও পেশায় আমরা যাই না কেন, যে কোনও বৃত্তিতেই যাই না কেন, জীবন ধারণ করা ও কর্ম সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি আরো বলেন, উচ্চশিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমরা ইতোমধ্যেই তার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। ক্রেডিটেশন কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে আমরা এই পলিসি বাস্তবায়ন করছি। উচ্চশিক্ষার জন্য শুধু আউটকাম বেইসড কারিকুলাম নয়, এডুকেশনের ইউনিফর্মেটিও প্রয়োজন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মান নিয়ন্ত্রণের জন্য সেল থাকতে হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা। জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে মৌলিক বিয়ষগুলোর মান উন্নয়নে যে রূপরেখা (ডেল্টা রূপরেখা) দিয়েছেন, তা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। গ্র্যাজুয়েটদের এই রূপরেখা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করতে হবে।