| |
               

মূল পাতা ইসলাম জুমার বয়ান মনের পশু ও আমিত্বকে জবাই করার নামই কুরবানী


মনের পশু ও আমিত্বকে জবাই করার নামই কুরবানী


রহমত ডেস্ক     08 July, 2022     10:15 PM    


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেছেন, ঈদুল আজহায় পশু জবাই করার পাশাপাশি মানুষের ভেতরে থাকা পশুত্বকে কোরবানি করার চেষ্টা করা উচিত। কেননা মানবের ভিতর যে পশুশক্তি লুকিয়ে আছে তা বিসর্জন দিয়ে তাকওয়া অর্জনই হলো কোরবানির শিক্ষা। লোক দেখানোর জন্য কুরবানি নয় বরং পশুকে জবাইয়ের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে মনের পশু ও আমিত্বকে জবাই করার নামই কুরবানী। পশু জবাই ও অর্থ ব্যয় করা সহজ কিন্তু নিজের মনের ধ্যান-ধারনা বিসর্জন দেয়া কঠিন। রাসুল সা. এর যুগে কাফেররা প্রচুর অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজেদের জীবন পর্যন্ত দিয়েছে, কিন্তু মনের কুফরি ধ্যন-ধারনা ত্যাগ করে ঈমান আনতে রাজী হয়নি। তাই মনের চাহিদা ও খাহেশের কুরবানীই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কুরবানী। আজ (৮ জুলাই) শুক্রবার কামরাঙ্গীরচরে রহমতিয়া জামে মসজিদে জুমার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, কুরবানী ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত, যা সামর্থবান মুসলমানদের উপর ওয়াজিব। হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, কুরবানীর দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোন আমল আল্লাহর কাছে নেই। কুরবানিদাতা কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর,পশমসমূহ নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। কুরবানীর রক্ত জমিনে পতিত হবার পূর্বেই তা আল্লাহর নিকট বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়। অতএব,তোমরা কুরবানির দ্বারা নিজেদের নফসকে পবিত্র কর। (ইবনে মাজাহ, তিরমিযী) অপর হাদীসে হযরত বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (সা). বলেছেন : যে ঈদের সালাতের পর কুরবানীর পশু জবেহ করল তার কুরবানী পরিপূর্ণ হল ও সে মুসলিমদের আদর্শ সঠিকভাবে পালন করল। (বুখারী ৫৫৪৫ ও মুসলিম:১৯৬১ ) সুতরাং কুরবানীর পশু জবাহের বিকল্প কোন এবাদত নেই। আজকাল অনেকেই কুরবানীর পরিবর্তে গরিব-দুঃখীদের সাহায্যের কথা বলে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। যা ইসলাম সমর্থন করে না। বণ্যা ও করোনার অযুহাতে পশু কুরবানীর পরিবর্তে দান-সদকা বা অসহায়দের আর্থিক সহায়তা প্রদানে কুরবানীর ওয়াজিব আদায় হবে না। কারো কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে কুরবানীর পশু জবাহের মাধ্যমে শরিয়তের ওয়াজিব হুকুম আদায় এবং নিজেকে তাকওয়াবান হিসেবে তৈরি করার করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।