| |
               

মূল পাতা রাজনীতি মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ


মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ


রহমত ডেস্ক     24 June, 2022     10:42 PM    


মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হকসহ কারাবন্দী সকল আলেমদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীর তিনটি পয়েন্টে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস। বিক্ষোভে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা মুনির হুসাইন কাসেমী, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা হারুন ইজহার, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা এহসানুল হক ও  মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ সকল কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দাবি করা হয়।

আজ (২৪ জুন) শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এ উত্তরায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গতকাল (২৩ জুন) বৃহস্পতিবার বাদ আছর মোহাম্মদপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের নেতৃবৃন্দ মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী সকল আলেমদের মুক্তি দাবি করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ ১৪ মাস যাবত কারাগারে আছেন আমাদের রাহবার মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা সাখওয়াত হুসাইন রাজী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন ও মাওলানা এহসানুল হকসহ অসংখ্য আলেম আজ কারাগারে বন্দী। কারাগারে তারা দূর্বিষহ জীবন পার করছেন। সুস্থ সবল অবস্থায় কারাগারে গেলেও আজ মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি। তাদের উপর জেল কোড বহির্ভূত শারীরিক মানসিক অত্যাচার হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সম্পূর্ণ বিরোধী। এর দায় প্রশাসন কিছুতেই এড়াতে পারে না।

তারা বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিহিংসাবশত বিরোধীপক্ষের উপর যেভাবে নির্যাতন করছে তা বিদেশি বৃটিশদের‌ও হার মানিয়েছে। বৃটিশরা যেভাবে স্বাধীনতাপ্রেমী জনতার উপর নির্যাতন করেছে, বর্তমান সরকারও দেশপ্রমী জনতার উপর সেভাবেই চড়াও হচ্ছে। ইতিহাস থেকে আমরা জানি, এর ফল কখনো সুখকর হয়নি; ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক সুস্থ সবল দেহে কারাগারে প্রবেশ করেছিলেন। মাত্র ১৪ মাসের ব্যবধানে তিনি হুইল চেয়ারে বসে পড়েছেন । তার সাথে কী আচরণ করা হল যে তার হুইল চেয়ারে বসতে হয়েছে। প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে। আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। এখন আমরা আন্দোলনেই সমাধান খোঁজতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা আমাদের রাহবারের নিঃশর্ত মুক্তি চাই!