| |
               

মূল পাতা ইসলাম জুমার বয়ান ‘সব নবী-রাসূলের সম্মান রক্ষায় মুসলমানরা দৃঢ়প্রত্যয়ী’


‘সব নবী-রাসূলের সম্মান রক্ষায় মুসলমানরা দৃঢ়প্রত্যয়ী’


রহমত ডেস্ক     10 June, 2022     08:06 PM    


ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, নবী-রাসূলগণ সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। মানবসভ্যতার উন্নয়ন ও বিকাশে তাঁরা অসামান্য অবদান রেখেছেন। মুসলমানরা শুধু মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানের চোখে দেখে না, বরং সব নবী-রাসূলের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় তারা দৃঢ়প্রত্যয়ী। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সবাই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং রাসূলদের ওপর ঈমান এনেছে। তারা বলে আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না।’ (সূরা বাকারা-২৮৫)। আজ (১০ জুন) শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, ইসলামী শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী আল্লাহর প্রেরিত সব নবী ও রাসূল আ. সব ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও পাপ-পঙ্কিলতা মুক্ত এবং তাঁরা সমালোচনারও ঊর্ধ্বে। সুতরাং তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। নবী-রাসূলগণ যেহেতু আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক মনোনীত ও প্রেরিত। সুতরাং তাঁদের সমালোচনা ও দোষত্রুটি চর্চা করা এবং তাঁদের অসম্মান করার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নির্বাচন ও মনোনয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। (নাউজুবিল্লাহ)। অথচ আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের ভুলত্রুটি ও দুর্বলতার ঊর্ধ্বে।

খতীব বলেন, পবিত্র কুরআনের একাধিক স্থানে নবী ও রাসুলগণের সমালোচনা ও বিদ্রুপকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে বিদ্রুপকারীদের হুঁশিয়ার করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই আপনার জন্য যথেষ্ট।" (সূরা হিজর-৯৫)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ সা.-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীর প্রতি আল্লাহর অভিশাপের কথা বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, "নিশ্চয়ই আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই নির্বংশ।’ (সূরা কাউসার-৩)।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী শরীয়তে নবী-রাসূলগণের সমালোচনা ও সম্মানহানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো ব্যক্তি নবী-রাসুলগণকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করলে ইসলামী দণ্ডবিধি মতে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেবে ইসলামী রাষ্ট্রের আদালত এবং তা বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্র বা তার প্রতিনিধি। ব্যক্তি ও সমাজ তা নির্ধারণ বা বাস্তবায়ন করবে না। যেখানে ইসলামী আইন বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত নয়, মুসলিম উম্মাহ সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের মাধ্যমে তাদের ঈমানি দায়িত্ব পালন করবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন, আমীন।