| |
               

মূল পাতা ইসলাম জুমার বয়ান ইসলামকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না : আল্লামা মাসঊদ


ইসলামকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না : আল্লামা মাসঊদ


রহমত ডেস্ক     10 June, 2022     09:12 PM    


বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সব মানুষের জন্য, সব জাতীর জন্য, সব বর্ণ ও গোত্রের মানুষের জন্য ইসলামকে ধর্ম হিসাবে মনোনিত করেছেন। ইসলাম ছাড়া আল্লাহ তাআলা কোনো কিছু কবুল করবেন না। অমুসলিম-কাফেররা নানা সময়ে ইসলামকে ধ্বংস করার হেয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা ইসলামকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে মুছে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা নিজে সেই ষড়যন্ত্রগুলো রুখে দেন। এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা কাফেরদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করবেন। এ যুগেও ইসলামকে ধ্বংস করার হেয় ষড়যন্ত্র চলছে। বিভিন্ন সময় অমুসলিম-কাফেররা ইসলাম ও নবীজিকে টার্গেট করে আপত্তিকর মন্তব্য করে। নানা ষড়যন্ত্রে ইসলাম ধর্মকে কালিমা লেপন করার দুঃসাহস দেখায়। কখনো সন্ত্রাস  ও উগ্রবাদের মূল হোতা বলে ইসলামকে দমিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু তাদের সব ষড়যন্ত্রের বিপরীতে আল্লাহ তাআলা স্বমহিমায় ইসলামকে বিজয়ী করেছেন। ইসলামের পতাকাকে সারা বিশ্বে সমুন্নত রেখেছেন। ইসলামকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। আজ (১০ জুন) শুক্রবার রাজধানীর হাজীপাড়া ঝিল মসজিদ কমপ্লেক্সে জুমার বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

আল্লামা মাসঊদ বলেন, মুসলমানের কাজের মাঝেই ইসলামের জীবন, আপনার-আমার কাজের মধ্যেই ইসলাম জীবিত থাকবে। মুসলমানদেরকেই ইসলামের বিধানগুলোর প্রতি সবচেয়ে বেশি যত্নশীল হতে হবে। নামায, রোযা, হজ্ব ও যাকাত আদায়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে হবে। ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাস, নবী-রাসূলদের ইতিহাস জানতে হবে। সাহাবীদের মর্যাদা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। এ জাতীয় জ্ঞান থাকলে একজন মুসলমান অমুসলিমদের ষড়যন্ত্রকে রুখতে পারবে। অন্যথায় আমার প্রাণের ধর্ম ইসলামকে গালি দিলেও উপযুক্ত জবাব দিতে পারবো না। কেবল ইসলামিক নাম রাখাকেই মুসলমান বলে না। কেবল সপ্তাহে একদিন মসজিদে এসে জুমার নামাজ আদায় করাকেই মুসল্লি বলা যায় না। ইসলামের জীবন আমাদের হাতে। আমরা যদি সঠিকভাবে পরিপূর্ণ ইসলাম পালন করি তাহলে ইসলামও বেঁচে থাকবে। অন্যথায় ইসলামের মৃত্যু হবে বলা চলে।

তিনি আরো বলেন, অমুসলিমদের এসব ষড়যন্ত্রের জন্য মুসলমানদেরও দায় রয়েছে, খোদ মুসলমানরাই তাদের জীবন থেকে ইসলামকে বহিস্কার করে দিয়েছে। তারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে, অথচ তাদের মাঝে ইসলামী শিক্ষার ছিটেফোঁটাও নেই। মুসলমান হয়েও তারা সুদ-ঘুষে লিপ্ত থাকে। হারামকে হারাম মনে করে না। যখন মুসলমানদেরই এই দশা, তখন অমুসলিমরা ইসলামকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হীন সাহস পায়। ভাইয়ো, আগে আমাদেরকে পরিপূর্ণ মুসলিম হতে হবে। তাহলে অমুসলিমরা আমার ধর্মকে নিয়ে, আমার নবীজিকে নিয়ে কটূ মন্তব্য করার সুযোগ পাবে না। মুসলমান আবেগতাড়িত হয়ে কাজ করে না, ইসলামের নবীকে নিয়ে কেউ কোনো কটূ মন্তব্য করবে এটা একজন মুসলমান সহ্য করতে পারে না। এসব ক্ষেত্রে আবেগ থাকা অবশ্যই ঈমানের আলামাত। কিন্তু মুসলমান শুধু আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করে না। মুসলমান কাজ করার আগে কাজের পরিণাম সম্পর্কে ভাববে। যদি পরিণাম ভালো ও সুস্পষ্ট হয় তাহলে সে কাজ করতে কোনো বাধা নেই। যদি পরিণাম অশুভ হয় তাহলে সে কাজ থেকে বিরত থাকাই মুসলমানের কর্তব্য।