| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘পশ্চিমা দুনিয়ায় ইসলামফোবিয়ার মহামারি তৈরি হয়েছে’


‘পশ্চিমা দুনিয়ায় ইসলামফোবিয়ার মহামারি তৈরি হয়েছে’


রহমত ডেস্ক     22 April, 2022     06:02 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিশ্বের শতকোটি মানুষের ধর্ম ইসলামের সম্মানজনক প্রতিকসমূহের ওপরে আঘাত করা ও অবমাননাকরা পশ্চিমাদের মানসিক রোগে পরিণত হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষি এক শ্রেণী লেখক, রাজনীতিবিদদের অব্যহত মিথ্যা প্রচারণার ফলে পশ্চিমা দুনিয়ায় ইসলাম ফোবিয়ার মহামারি তৈরি হয়েছে ও কোটি মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। যা বিশ্বব্যাপী অশান্তি বাড়াচ্ছে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছে। তারই ধারবাহিকতায় সুইডেনে এক রাজনৈতিক নেতা কতৃক সরকারি অনুমতি নিয়ে প্রকাশ্য কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমা এই ধর্মীয় উষ্কানির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় বাংলার মানুষ।

আজ  (২২ এপ্রিল) শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সুইডেনে কুরআন অবমাননা এবং মসজিদে আল-আকসায় নিরীহ নিরাপরাধ মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ,মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ প্রমুখ। পরে একটি বিশাল মিছিল চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ইসরাইল, সুইডেন বিরোধী বিভিন্ন প্লেকার্ড শোভা পায়। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিলে অংশ নেয়।

চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ও ইসলাম ফোবিয়ার বিরুদ্ধে জোড়ালো অবস্থান নিন। ইসরাইলের জন্মই যে একটি আজন্ম পাপ তা আবারো প্রমাণ হলো। প্রতিবছর দফায় দফায় নিরিহ ফিলিস্তিনিদের ওপরে হামলা করা হয়। রমজান আসলেই ইহুদি দানব হিংস্র হয়ে ওঠে। বছরের পর বছরএসব দেখে উম্মাহ বিরক্ত ও বিক্ষুদ্ধ। বর্তমান জাতিসংঘ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য মুসলমানদের পৃথক মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিশ্বব্যাপী কুরআনী শাসন প্রতিষ্ঠাও বাইতুল আকসা থেকে ইসরাইলিদের উচ্ছেদ করেই এর বদলা নেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।