| |
               

মূল পাতা সম্পাদকীয় স্মৃতির আয়নায় ওলামা বাজার হযরত


স্মৃতির আয়নায় ওলামা বাজার হযরত

মাওলানা সাইয়েদ আহমদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি


মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী     18 January, 2022     08:33 PM    


ওলামা বাজারের দ্বিতীয় হযরত মাওলানা সাইয়েদ আহমদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। কারণ, তিনি চারজন বুযুর্গের ছোঁয়ায় ধন্য হয়েছেন। তাঁর জীবন ও কর্মে চারজনেরই ৩৭ ও কর্মের ছাপ ছিলো। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন তুফি নূর বখশ বহ। যাঁর অন্তরে আল্লাহ তায়ালার ইশক ও মহব্বত ভরপুর ৭/ ছিলো) ছিলেন। আশেকানা ছিফাতের অধিকারী। ফলে ওলামা বাজার হযরত বহু সর্বদা আল্লাহর ইশক ও হাবুডুবু খেতেন। আল্লাহর নাম স্মরণ ও বলা মাত্রই তাঁর চক্ষুবা অশ্রুশিক্ত হতো। অপরদিকে শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির ছাত্র এবং সোহবতপ্রাপ্ত ছিলেন। ফলে তিনি সর্বদা জিহাদের স্পৃহা লালন করতেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ট কণ্ঠস্বর ছিলেন। তার জলন্ত প্রমান যখন শাহবাগীদের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন দাবানল হয়ে উঠেছিল, তখন তিনি বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন।

আমীরে শরীয়ত হযরত মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সাহচর্য লাভ করে তাঁর শীর্ষ পর্যায়ের খলীফার মর্যাদায় অভিষিক্ত হন। হযরত হাফেজ্জি হুজুররাহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে তার শায়েখ ও মুরশিদ হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “মেরে খোলাফা মে সবসে বড়ে আবেদ ও স্নাকের হায় হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির ওষ্ঠদ্বয় সর্বদা যিকিরের কারণে নড়াচড়া করতে থাকতো। যার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ছিলেন হযরত ওলামা বাজার হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। পরিনত বয়সে আছর থেকে টানা এশার পর্যন্ত যিকিরে মশগুল থাকতেন। সর্বদা যিকিরের কারণে ঠোঁট নড়াচড়া করতেই থাকত।

হযরত থানভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সর্বশেষ খলীফা মুহিউসসুন্নাহ হযরত মাওলানা আবরারুল হক হারদুঈ যিনি ওইসব সুন্নত যিন্দাহ করেছেন যার প্রতি গুরুত্ব ও আমল ওলামায়ে কেরামের মাঝ থেকে চলে গিয়েছিল। ওলামা বাজার হযরত রহ. হযরত হারদুঈ রহ.-এর বিশিষ্ট খলিফা ছিলেন। হযরত হারদুঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতো তিনিও সুন্নাতের ব্যাপারে যত্নবান ও কঠোর ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে পুঙ্খানু পুঙ্খানুভাবে সুন্নতের প্রতি আমল করতেন। একবার আমি হযরতের কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। ইতিমধ্যে হযরতের কামরায় আগমন করলেন হাটহাজারী মাদরসার সিনিয়র উস্তাদ হযরত বাবা হুযুর দামাত বারাকাতুহু। তিনি তিনটি বাক্য বললেন, “সুন্নাতুন ইজ্জাতুন, সুন্নাতুন রাহাতুন, সুন্নাতুন জান্নাতুন"। হযরত ও আমি উভয়ই বাবা হুজুরের সাথে সমস্বরে বাক্যগুলো বলতে লাগলাম। বস্তুত বাবা হুজুর ঐ বাক্যগুলোর মেসদাক হযরতকে সাব্যস্ত করেছিলেন। কোথাও ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে সুন্নাত পরিত্যক্ত হতে দেখলে সাথে সাথে তাম্বিহ করতেন। একবার হযরত কামরাঙ্গিরচর জামিয়া নূরিয়ায় শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করলেন। নামাজাতে ইমাম সাহেবকে এ মর্মে তাম্বীহ করলেন, কেন নামাজে হামীম সেজদা সূরা পড়া হলো না? কেন হাফেজ্জী হুজুরের মাদরাসায় সুন্নাত অনুযায়ী কেরাত পড়া হলোনা? আর ছাত্রদেরকে এ মর্মে সতর্ক করলেন, গায়ে গায়ে মিলে দাড়ানো সুন্নাত। আর হযরত রাহমাতুল্লাহি আলাইহির তাৎপর্য বর্ণনা করলেন, কাতারের এক প্রাপ্ত কোন আল্লাহ ওয়ালা নামাজ পড়লে তার ফয়েজ অন্যপ্রান্তে পৌঁছে। মুফতী ফজলুল হক আমীনি রাহমাতুল্লাহি আলাইহির ইন্তেকালের পর তার কবর যিয়ারত করার জন্য লালবাগ মাদরাসায় আগমন করলেন। আমিও হযরতের সাথে ছিলাম। সে সময় লালবাগের অনেক উদ্ভাদকে নীচের ঠোঁটে অবস্থিত ছোট দাঁড়ী না রাখার জন্য তাখিছ করলেন। সকলেই হযরতের সামনে লঙ্ঘিত হরেন। দুঃখ প্রকাশ করে হযরত বললেন, এটাকেতো দাঁড়িই বলা হয়। দাঁড়ির হুকুমে এটা অন্তর্ভূক্ত।

শায়েখ হাফেজ্জী হুজুরের মূল্যায়ন : হযরত কখনো নিজের কৃতিত্ব ও শুনাগুন প্রকাশ করতেন না। একবার এক মসলিসে অকপটে বলেই ফেললেন, হযরত হাফেজ্জি হুযুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবদ্দশায় কামরাঙ্গিরচরে হযরতের খোলাফা ও মৃত্যআগ্লিকিনের গুরুত্বপূর্ণ মজলিশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মজলিস প্রদখিত হলো। হাফেজ্জি হুযুর রয়, কোন সিদ্ধান্ত নিলেন না। ইতিমধ্যে ওলামা বাজার হযরত আগমন করণে হাফেজ্জি হুজুর বহু বললেন, আমি আপনারই অপেক্ষায় ছিলাম। অতপর হযরতের সাথে পরামর্শ করে হাফেজ্জি হুযুর বহু সিদ্ধান্ত দিলেন।

শায়েখ ও উদ্ভাসের আনুগত্যের অনুপম দৃষ্টান্ত : শায়েখের আনুগত্যের এমন নজির মেলা ভার। একবার সুফি নূর বর্ষশ (হযরতের প্রথম শায়েখ) বললেন, অমুক তারিখে শযিনি মাদরাসায় মাওলানা জাফর আহমান উসমানী সাহেব আসবেন। তুমি সেদিন আসবা। শায়েখের নির্দেশ পালনার্থে শর্ষিনিগামী ট্রেনে উঠার জন্য স্টেশনে এসে দেখলেন নির্ধারিত ট্রেনটি চলে গিয়েছে হযরতের সাথে তার শ্বশুরও ছিলেন। ট্রেন না পাওয় তার শ্বশুর চলে গেলেন। কিন্তু হযরত সমার নয় আর বিকল্প কোন বাহন বা ব্যবস্থাও ছিল না। তাই তিনি ট্রেনযোগে প্রায় পাঁচ ঘন্টার পথ পায়ে হেঁটে রওয়ানা দিলেন। পতিমধ্যে ৮/ বেশ কয়েকটি নদী অতিক্রম করতে হয়েছিল। যা কখনো সাতার কেটে বা কলাগাছের ভেলার সাহায্যে পার হতে হয়েছিল। আল্লাহর এ প্রিয় বান্দা যথা সময়ে জোহরের পূর্বে শযিনি মাদরাসায় উপস্থিত হলেন। শহিদির হযরত এ ঘটনা শুনে খুশি হলেন এবং দোয়া করলেন।

হাদিয়া বহনে অনিহা : যে কোন লোকের হানিয়া গ্রহন করতেন না। বিশেষত প্রশাসনের লোকজনের হানিয়া গ্রহন করতেন না। একবার চাঁদপুর জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার হযরতের কাছে দোয়ার জন্য আসলেন। কাকতালীয়ভাবে আমি তখন ওলামাবাজার ছিলাম। এসপি সহেব আমাকে বললেন, বস্তুর আমার হাদিয়া গ্রহন করবেন না। আমি কিছু টাকা এনেছি তা মাদরাসায় দিতে চাই। কার কাছে দিব? তখন আমি হযরতের খাদেম আব্দুল ওয়াজেদ ভাইয়ের নিকট দেয়ার জন্য বললাম। একবার খানকার নীচে হযরতের খলীফা কামরাঙ্গীরচর মাদরাসার উস্তাদ হাফেজ মাওলানা আবুল কাসেম রায়পুরী সাহেব কিছু টাকা হাদিয়া দিতে চাইলে পকেটের টাকা দেখিয়ে বললেন, হাফেজ কাসেম! তুমি কেন আমাকে হাদিয়া নিচ্ছে? আমার পকেটে অনেক টাকা। তাছাড়া আমার প্রয়োজনও নেই। আমি একবার হযরতের কাছ থেকে ওলামা বাজার মাদরাসার মসজিনে বিদায় নিয়ে আসার সময় মাত্র ১০০ টাকা হাদিয়া দিতে চাইলে হযরত গ্রহণ করতে চাইলেন না। আমি বললাম- হযরত থানভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কিতাবে রয়েছে শায়েখকে হাদিয়া দিতে হয়। এরপর হযরত তা গ্রহন করলেন। এ বলে আমাকে ঐ টাকা ফেরত দিলেন, আমি তা আপনাকে হাদিয়া দিলাম। আপনি কতো কষ্ট করে এসেছেন। আর অপর দিকে হযরত হাদিয়া দেয়ার ব্যাপারে পটু ছিলেন। আমি প্রত্যক্ষদর্শী যতবার তিনি কামরাঙ্গীরচর মানরাসায় আগমন করেছেন, তৎকালীন মোহতামীম হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির বড় সাহেবজাদা মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সাহেবকে হাদিয়া দিয়েছেন। আমি আমার ছেলে ইয়াহইয়াকে দোয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছি। হযরত তার মাথায় হাত বুলালেন, কয়েকবার আল্লাহ আল্লাহ জিকির করিয়ে ১০০ টাকা হাদিয়া দিলেন।

বিশেষ কিছু স্মৃতি : সম্ভবত ২০০৪ সালের ঘটনা, ধানমণ্ডি ইদগাহ সংলগ্ন মসজিদে হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক হারদুঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহির বয়ান ছিলো। এ উপলক্ষে হযরতের খোলাফায়ে কেরাম উপস্থিত হয়েছিলেন। তন্মধ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা উবায়দুল হক, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক, মুফতী আমিনী সাহেব, ওলামা বাজার হযরত মুফতী আব্দুল মালেক সাহেব প্রমুখ শীর্ষ আলেমগন ও মুহিব্বিন উপস্থিত হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে আযান ও একামতের মশকের হালকা চালানোর কথা বলা হলো। একেকজন এক এক হালকায় শরীক হলেন। আমাদের কয়েকজন সামীর ইচ্ছে ছিল আমরা ওলামাবাজার হযরতের হালকায় শরীক হবো। আমাদের পূর্বেই ডানপাশে বসে গেলেন উপমহাদেশের অন্যতম হাদিস ও রিজাল বিশারদ মারকাজুদ দাওয়ার আমীনুত তালীম হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব  আরবীতে প্রবাদ বাক্য আছে-- রতনে রতন চেনে। আব্দুল মালেক সাহেব হুযুর হযরতকে প্রথমে আযান- একামত শুনালেন, এরপর আমরাও শুনালাম।

হুসনে আখলাক ও উদারতা : একবার বছরের শেষে মাদরাসা ছুটি হওয়ার পর হযরতের ছোহবতে আট দিন ছিলাম। বিদায় নেয়ার মূহুর্তে হযরত অশ্রুসজল, বিদায় দিতে পারছেন না। আমি অপারগতা প্রকাশ করলাম, হযরত এর থেকে বেশী ছুটি নিতে পারিনি, ইচ্ছেতো ছিলো ৪০ থাকার। উপরক্ত রমজানে মাদরাসায় কিছু জিম্মাদারি রয়েছে। হযরত বললেন, মাদরাসার হক নষ্ট করা যাবেনা। চলে যান। আদি খানকায় চলে আসলাম। হযরতের খাদেম আব্দুল ওয়াজেন ভাই ফোন করে বললেন, হযরত নোয়াখালী যাবেন। আপনি চাইলে হযরতের সাথে মহিপাল পর্যন্ত যেতে পারবেন। আমি অপ্রত্যাশিত নেয়ামত মনে করে এ প্রস্তাব গ্রহন করলাম হযরত আমাকে শুধু মহিপাল চৌরাস্তা নয় বরং স্টার লাইন কাউন্টার পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন। এটা একজন মহান ব্যক্তির তাঁর নগন্য মুরীদের প্রতি হুসনে ও উদারতা বৈ কিছু নয়। যার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল।

বিপদে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল ও অবিচলতা : একবার ওলামা বাজার থেকে হযরতের খলিফা হযরত মাওলানা বিলাল সাহেবের রাহমাতুল্লাহি আলাইহি রামগঞ্জ মাদরাসার উদ্দেশ্যে হযরত তার খাদেম আব্দুল ওয়াজিদ ভাই. হাফেজ্জী হুজুরের ভাতিজা আমার উস্তাদ মাওলানা ফারুক আহমাদ সাহেব ও আমি একটি কারযোগে, রওয়ানা হলাম। কারটি রামগঞ্জে পৌঁছে একটি সরু ও আকাবাকা পথে চলছিল। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে একটি বেপরোয়া মোটর সাইকেল এসে এত জোরে ধাক্কা দিল যে কারটি বৃদ্ধ হয়ে গেল। আমরা ব আতকে উঠলাম, ঘাবড়িয়ে গেলাম। কিন্তু হযরতের চেহারায় কোন দুশ্চিন্তার ছাপ পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি শুধু দোয়া পড়লেন। আলহামদুল্লিািহ আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি। শুধু কারটির চাক্কা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনা বিপদে হযরতের আল্লাহর উপর তায়াক্কুল ও অবিচলতার পরিচয়। আর পাশাপাশি আমি এ ঘটনাকে হযরতের কারামত হিসেবে দেখছি।

একটি বিশেষ নসিহত : একবার আমি হযরতের নিকট এশার নামাযের পর একাকী বসা ছিলাম। একটি কিতাব থেকে কিছু বিষয় পড়িয়ে শোনালেন। এরপর বললেন, “মহব্বতে শায়েখ আওর আযমতে শায়েখ কা মাকাম তালীম ও তারবিয়াত সে ভী য়িাদাহ হ্যায়” শায়খের প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার গুরুত্ব তালীম তারবিয়াত মামুলাত ও ওজায়েফ থেকেও বেশী।

তাওয়াজু বিনয়ের পরাকাষ্ঠা : অহমিকা বুনিয়াদি বিষয়। নিকট অতীতে অঙ্গনে হযরত ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্ব। যার অন্তরে অহমিকার লেশমাত্র আপাদমস্তক। নয়ের এক প্রতীক ছিলেন। অনুরূপ হারদুঈ রহ-এর ভাষ্যানুযায়ী “তাওয়াজু কি আড় মে কিবর" বিনয়ের আড়ালে অহংকার থেকেও তিনি যোজন যোজন দূরে ছিলেন। হযরতের বিনয়ের ঘটনা রয়েছে। তন্মধ্যে একটি বিষয় উল্লেখ করবো। হযরত হারদুঈ রহ ইত্তেফালের তাঁর খলীফা খাদেম হযরত মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেব এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলেন। অথচ তিনি হযরতের নাতিতুল্য ছিলেন।

অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি : হযরতের নিকট বিভিন্ন করলে তিনি প্রতি একবার কুদৃষ্টির কাউকে ২০ টাকা, ১০০ টাকা আল্লাহর রাস্তায় দান করতে বলতেন। এর দ্বারা পর্যায়ক্রমে কুদৃষ্টি থেকে মুক্তি পাওয়া যেত। শেষকথা। আল্লাহপাক আশেক, জাকের এবং দ্বীনের মুখলিস খাদেম হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক : খলিফা, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর ঢাকা