| |
               

কে এই রাইসি

খামেনির মতো রাইসিরও দাবি, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর রক্ত-সম্পর্কিত উত্তরাধিকার রয়েছে তার। এ কারণে সবসময় কালো রংয়ের পাগড়ি পরেন তিনি।


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     19 June, 2021     12:11 AM    


ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি ইরানের রক্ষণশীল বিচারবিভাগের সাবেক প্রধান বিচারপতি।

শনিবার (১৯ জুন) ইব্রাহিম রাইসি ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, গতকাল শুক্রবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক নতুন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে:
ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান ৬০ বছর বয়সী রাইসি বর্তমানে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনী দৌড়ে শামিল হয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও একবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই সময় হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হন রাইসি।

দেশটির সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা খামেনি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে; ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। খামেনির মতো না হলেও দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থিমহলে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

খামেনির মতো রাইসিরও দাবি, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর রক্ত-সম্পর্কিত উত্তরাধিকার রয়েছে তার। এ কারণে সবসময় কালো রংয়ের পাগড়ি পরেন তিনি।

তবে ইরানের গণতন্ত্রপন্থী বলয়ে তার জনপ্রিয়তা বেশ কম। কারণ আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় দেশটিতে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন গণতন্ত্রপন্থীরা, যারা ক্ষমতাসীন ইসলামী কট্টরপন্থী সরকারের বিরোধী। যুদ্ধ শেষে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে শত শত গণতন্ত্রপন্থিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তেহরানের রেভ্যুলুশনারি আদালত সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের পরই তাদের অধিকাংশকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। সে সময় রেভ্যুলুশনারি আদালতের প্রধান বিচারক ছিলেন রাইসি।

ওই বিচার প্রক্রিয়ার পরই খামেনির আস্থাভাজন হিসেবে হিসেবে উত্থান ঘটে তার। ২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনি। ইরানের শিয়া মুসলিমদের কাছে পবিত্র তীর্থ বলে বিবেচিত ইমাম রেজার মাজারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দাতব্য কার্যক্রম ও দেশের অধিকাংশ কোম্পানি পরিচালনাও করে থাকে এই ফাউন্ডেশন।

তিন বছর মোটামুটি সফলভাবে আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দেন খামেনি। এ পদে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়ে তার।

/জেআর/