| |
               

মূল পাতা জাতীয় ব্র্যাকের ‘গালা নাইট’ নিয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা ইসলামাবাদীর উদ্বেগ


ব্র্যাকের ‘গালা নাইট’ নিয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা ইসলামাবাদীর উদ্বেগ


রহমত নিউজ     12 March, 2024     01:01 PM    


সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গালা নাইট’ নামে একটি আয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের নাচ ও চুম্বনরত একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমা সংস্কৃতির আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে কিনা’ এমন প্রশ্ন তুলেছেন।

সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। বিবৃতিতে মাওলানা ইসলামাবাদী বলেন, আমাদের প্রশ্ন- ‘গালা নাইটে’র নামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিভাবে আমাদের সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী এমন রুচিহীন অশ্লীল আয়োজন অনুমোদন করতে পারল? কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ছাত্রছাত্রীরা প্রকাশ্যে গানের তালে তালে চুম্বনরত হয়ে নাচানাচি করছে—এতটা অধঃপতন মেনে নেয়া যায় না। বাঙালি সংস্কৃতির ধ্বজাধারীরা এখন কোথায়! বাঙালি সংস্কৃতির কথিত ‘শুদ্ধতাবাদীরা’ ইসলামী পরিভাষা ও মূল্যবোধ নিয়ে ঘৃণা ছড়ান। অথচ এখন তারা চুপ। কথা বলছেন না!

তিনি আরো বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ট্রান্সজেন্ডারিজমের নামে সমকামিতা ও লিঙ্গবিকৃতির মতো জঘন্য পশ্চিমা কুসংস্কারগুলো প্রোমোট করার অভিযোগ রয়েছে। যেখানে আমাদের জাতীয় পাঠ্যবইয়ে ‘শরিফ থেকে শরিফা’র মতো বিকৃত ধ্যানধারণা অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে সন্তানদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, সেখানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আয়োজনের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, পাশ্চাত্য থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আহরণে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোমলমতি শিশুদের টার্গেট করে আমাদের জাতীয় পাঠ্যবইয়ে শরিফ থেকে শরিফা তথা ট্রান্সজেন্ডারিজমের মতো পশ্চিমা কুসংস্কারগুলো ঢোকানো হয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ এমন কোনো পশ্চিমা কুসংস্কার বা সংস্কৃতির আমদানিকরণ মেনে নেয়া হবে না। তাছাড়া এ মুহূর্তে একের পর এক কনসার্ট আয়োজন আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি মাহে রমজানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ সমস্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান করছি।