| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক এশিয়া সেনা প্রত্যাহার ব্যতীত ইসরাইলি পণবন্দি সেনারা মুক্তি পাবে না: হামাস


ফাইল ছবি

সেনা প্রত্যাহার ব্যতীত ইসরাইলি পণবন্দি সেনারা মুক্তি পাবে না: হামাস


রহমত নিউজ     24 February, 2024     03:27 PM    


হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে,যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাস দু’সপ্তাহ আগে যে প্রস্তাব দিয়েছিল এখনও তাতে অটল রয়েছে। অর্থাৎ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ইসরাইলি পণবন্দি সেনারা মুক্তি পাবে না।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য মিশরের রাজধানী কায়রো এবং ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ব্যাপকভিত্তিক আলোচনা চলছে। এসব আলোচনার বিষয়বস্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে কিছু কিছু খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।

হিব্রু দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থানরত ইসরাইলি প্রতিনিধিদল বলেছে, হামাস এখনও তার এই অবস্থানে অটল রয়েছে যে, গাজা উপত্যকা থেকে পুরোপুরিভাবে ইহুদিবাদী সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

এর আগে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, হামাস ইসরাইলি কারাগার থেকে ৩,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তিতে সন্তুষ্ট থাকতে রাজি হয়েছে। এছাড়া, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনটি তাদের হাতে আটক ইসরাইলি পণবন্দি সেনাদের মুক্তি দেবে না।

হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলোতে একটি খবর প্রচার হয়েছে এই মর্মে যে, আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে কায়রোয় আলোচনা চলছে। ওই যুদ্ধবিরতিতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক অবশিষ্ট নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ ইসরাইল পণবন্দিরা মুক্তি পাবে।

কায়রোর পাশাপাশি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই বৈঠকে অংশ নিতে প্যারিসে ছুটে গেছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান উইলিয়াম বার্নস, ইসরাইলি গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলে সানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল। তবে প্যারিস বৈঠকের কোনো খবর গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পারেননি।

পার্সটুডে