| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতেই হবে’


‘খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতেই হবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     09 October, 2023     11:04 AM    


হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে জানিয়েছে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এস এম সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, এখন খালেদা জিয়ার যে অবস্থা তাতে করে তাঁকে বাসায় নেওয়া যাবে না। এখানকার চিকিৎসকেরা তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী যা করার করেছেন। এখন তাঁকে বিদেশে নিতেই হবে। এতে তাঁর জীবন রক্ষা হতে পারে।

সোমবার (৯ অক্টোবর)  রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

এস এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার এখন যে শারীরিক অবস্থা, তাঁর লিভারে পানি জমেছে। সেই পানি ঝরছে। লিভার  জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তাঁকে বাইরে নেওয়া দরকার। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আর বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে তাঁকে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল। এখন সেগুলোও কাজ করছে না। খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি আরও দুই বছর আগেই তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়া উচিত ছিল, এখানকার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাঁরা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসকদের আন্তরিক চিকিৎসায় তিনি এখনো বেঁচে আছেন। কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। খালেদা জিয়ার ভালো চিকিৎসার এখনো সুযোগ আছে। সেটা দেশের বাইরে। খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতেই হবে। তাঁকে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া দরকার। দেশের বাইরে এর ব্যবস্থা আছে।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য প্রফেসর নুরুদ্দিন বলেন, আমাদের হাতে আর কোনো চিকিৎসা নেই। উনার (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসার জন্য আমরা আপাতত শুধু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারছি। এর ফলে উনার শরীর অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে উনার ওপর হয়তো আর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। তাই এ দেশে উনার আর কোনো চিকিৎসা নেই। উনার বুকে এবং পেটে প্রতিনিয়ন পানি জমে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। উনার শরীর থেকে পানি বের করার জন্য কিছুদিন পর পর সিসিউতে নেওয়া হচ্ছে। তাই খালেদা জিয়ার ভালো উন্নত চিকিসার জন্য তাকে বিদেশ নিতে হবে।

বিএনপি নেত্রীর মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চটুকু করেছে। তাদের আর কিছু করার নেই। এখন বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে তাঁকে বাইরে নিতে হবে।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। শেষ গত মার্চ মাসে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।