| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ইউরোপ কিয়েভকে ‘বৃহৎ সমরাস্ত্র শিল্প কেন্দ্রে’ পরিণত চান জেলেনস্কি


কিয়েভকে ‘বৃহৎ সমরাস্ত্র শিল্প কেন্দ্রে’ পরিণত চান জেলেনস্কি


রহমত নিউজ ডেস্ক     01 October, 2023     10:50 AM    


পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্প খাতকে ‘বৃহৎ সমরাস্ত্র শিল্প কেন্দ্রে’ পরিণত করতে চান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ আরো বাড়বে। এতে অস্ত্র নির্মাতা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো অংশ নেয়। রাশিয়ার অব্যাহত বোমা হামলা সত্ত্বেও কীভাবে ইউক্রেনে যৌথভাবে অস্ত্র উৎপাদন করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কিয়েভ সরকার আয়োজিত একটি ফোরামে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এই ফোরামে ৩০টি দেশের সমরাস্ত্র কোম্পানির নির্বাহীরা অংশ নেন। তাঁদের কয়েকজন বলেন, তাঁরা তাদের কোম্পানিগুলোর মজুত খালি করে দিচ্ছেন। কিন্তু ইউক্রেনের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন।

ফোরামে অংশ নেওয়া আড়াই শতাধিক পশ্চিমা কোম্পানির নির্বাহীদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন প্রতিরক্ষা ম্যারাথনের এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে, যখন পিছিয়ে না গিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিদিনই সাফল্য পাওয়া প্রয়োজন।আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং আমাদের সেনাদের ব্যবহার করা প্রতিটি উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থানীয়ভাবে তৈরিতে আমরা আগ্রহী। এসব অস্ত্র এখন সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সেরা সাফল্য এনে দিচ্ছে।  আকাশ প্রতিরক্ষা ও মাইন নিষ্ক্রিয় করার সরঞ্জাম তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। স্থানীয়ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবারুদ উৎপাদনও আরো জোরদার করতে চায় ইউক্রেন।

কয়েকটি পশ্চিমা কোম্পানি ইতিমধ্যে ইউক্রেনের সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে যুক্তরাজ্য ও জার্মানির শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দেশটির ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। এসব ভূখণ্ড উদ্ধারে গত জুনে কিয়েভ পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। কিছু এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনী অগ্রসর হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো শহর পুনরুদ্ধার করতে পারেনি তারা।

ইউক্রেন পশ্চিমা আর্থিক ও সামরিক সহায়তার ওপর খুবই নির্ভরশীল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ ধরনের শত শত কোটি ডলার সহায়তা পেয়েছে দেশটি। কিন্তু অব্যাহতভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই ফোরামে ৩০টি দেশের সমরাস্ত্র কোম্পানির নির্বাহীরা অংশ নেন। তাঁদের কয়েকজন বলেন, তাঁরা তাদের কোম্পানিগুলোর মজুত খালি করে দিচ্ছেন। কিন্তু ইউক্রেনের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন।