| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস’


‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস’


রহমত নিউজ ডেস্ক     22 March, 2023     11:21 PM    


বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতার একান্ন বছর আমরা পার করেছি। এসময়ও প্রশ্ন কেমন আছে বাংলাদেশ? নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস। খাবার অভাবে অপুষ্টিতে ভোগে দেশের মানুষ। পথে ঘাটে চোখে পড়ে ছিন্নমূল মানুষ ভিক্ষার থলি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।  

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শিশু দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত "সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অধিকার বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ক"-শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মুহাম্মদ আলী'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার এমপি, প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এডভোকেট আবুল হাশেম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, প্রত্যাশার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. আবদুল্লা আল মামুন, মেডিসিন ও জনস্বাস্থ‍্য বিশেষজ্ঞ ডা, সাকিরা নোভা, সংগঠনের ঢাকা জেলা সভাপতি শেখ মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, শিশু অধিকার অর্জনে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। আমাদেরকে শিশুদের জন্য বাসযোগ্য একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা প্রায়ই বলি ‘শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ’। শিশুর ‘বর্তমান’কে অর্থবহ করতে আমরা কী করছি? শিশুর বর্তমানকে নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যত নির্মান করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের নগরগুলোতে প্রাচুর্য ও দারিদ্র্য পাশাপাশি থাকে। বস্তি এলাকায় বাস করা বেশির ভাগ শিশুই উপযোগী বাসস্থান, পরিষ্কার পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। খুবই উচ্চমাত্রার বায়ু ও শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে তারা। 

তিনি আরো বলেন, প্রকৃতি উপভোগের সুযোগ শিশুদের নেই বললেই চলে। হাসপাতাল, ক্লিনিক, গণপরিবহন, রেস্তোরাঁ, গ্যালারি, জাদুঘরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সেবা শিশুবান্ধব নয়। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সুযোগ খুবই কম। তাই যোগাযোগ ও বিনোদনের জন্য শিশুদের প্রযুক্তির ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে স্মার্টফোন আসক্তি; তারা আজ নিঃসঙ্গ। বিত্তবান পরিবারের শিশুরাও আবেগের দিক থেকে খুব দরিদ্র। শিশুরা শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন, শোষণ ও অবহেলার শিকার। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের বিকাশ ব্যাহত হয়, যা শিশু অধিকারের লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকারকে শিশুবান্ধব নগর গড়ে তোলার জন্য সব খাতের সমন্বয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অনেক বিষয় নিয়েই নতুন করে ভাবতে হবে। শিশুদের নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে্। শিশুদের ‘ভবিষ্যৎ’ বলা বন্ধ করে, তাদের কথা শুনতে হবে, তাদের স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে একটি শিশু সংবেদনশীল সমাজ তৈরিতে রাষ্ট্রকে কর্মসূচী গ্রহন করতে হবে।