| |
               

মূল পাতা সারাদেশ রাজধানী যাত্রীকে ছুরি নিয়ে তাড়া করলো বাসের হেলপার


যাত্রীকে ছুরি নিয়ে তাড়া করলো বাসের হেলপার


রহমত নিউজ     21 March, 2023     09:49 AM    


রাজধানীতে ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে এক যাত্রীকে মারধর ও ছুরি নিয়ে তাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাসের হেলপারের বিরুদ্ধে। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ইসিবি চত্বর থেকে কাওরানবাজারের দিকে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বাসযাত্রী নুরুন্নবী আমাদের সময় পত্রিকায় সহসম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

নুরুন্নবী জানান, ইসিবি চত্বর থেকে তিনি কাওরানবাজারে আসার জন্য ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাসে ওঠেন।

হেলপার ভাড়া চাইলে তিনি তাকে এই পথের জন্য ২৫ টাকা দেন। কিন্তু তিনি তার কাছে আরও ৫ টাকা বেশি চান। এই নিয়ে বচসার এক পর্যায়ে বাসের হেলপার তাকে মারধর শুরু করলে অন্য যাত্রীরা তাকে থামান। বাসের হেলপার আমার জামা ছিড়ে ফেলে। পরে তিনি ফার্মগেট পার হয়ে তেজতুরি বাজার ফুটওভার ব্রিজের কাছে নেমে যান। সেখানে ছেঁড়া জামা খুলে ফুটপাত থেকে একটি গেঞ্জি কিনে পরেন।
এ সময় ওই বাসটিই কাওরানবাজার ঘুরে আবার ফার্মগেটের দিকে আসতে থাকে। তখন তিনি আবার সেই হেলপারকে তার দিকে আসতে দেখে ভয়ে একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়েন। এ সময় হেলপার ওই দোকান থেকে একটি ছুরি নিয়ে তাড়া করলে আশপাশের লোকজন তাকে থামান। এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান নুরুন্নবী।

নুরুন্নবীর অভিযোগ, ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের বাসগুলোতে সব সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। এই কোম্পানির বাসগুলোতে ভাড়ার কোনও তালিকাও টানানো থাকে না। এ নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়।  

দুপুর ২টার পর এক পুলিশ সদস্য ফার্মগেটে এসে নুরুন্নবীকে সঙ্গে নিয়ে ফার্মগেটে ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টের কাউন্টারে যান। সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিকে বিষয়টি বললে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তিনি। পরে সন্ধান না পেয়ে বাস কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। নুরুন্নবীর হাত ও পায়ের চামড়া ছিলে রক্ত বেরিয়ে গেছে। জামার বোতাম ছেঁড়া। দুয়েক জায়গায় রক্তের দাগ।

এ বিষয়ে তেজগাঁও থানায় গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা দোষী বাস শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। অপরাধীকে শনাক্তের পরে মামলা নেওয়া হবে। বাসে নুরুন্নবীর সহযাত্রী মনির হোসেন বলেন, ওনার (নুরুন্নবী) গায়ে হাত তোলার মতো কোনও পরিস্থিতি ছিল না। আমরা বাসের অন্য যাত্রীরা না থামালে ওনাকে আরও মারধর করতো।

এ ব্যাপারে ট্রাস্ট পরিবহনের চিফ সুপারভাইজার তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি হেলপারকে চিহ্নিত করতে। অনেক চালক ও হেলপারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা দ্রুতই দোষীকে শনাক্ত করবো। দোষী হেলপারকে চিহ্নিত করার পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -নিউজ২৪।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা