‘দেশ ও জাতির মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দানের জন্য তৈরী করতে হবে’

খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যাপক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেছেন, ৮০'র দশকে হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে ইসলামী জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিলো তারই ধারাবাহিকতায় এ দেশের হক্কানী উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার বুদ্ধীজীবীদের সমন্বয়ে ১৯৮৯ সালে খেলাফত মজলিসের আত্মপ্রকাশ হয়। খেলাফত মজলিস সকল ইসলামি শক্তির মধ্যে একটি ফলপ্রসূ ঐক্যের ভিত্তি রচনা করতে সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে। সুতরাং খেলাফত মজলিসের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদেরকে এ লক্ষ্যেই কাজ করে যেতে হবে। ঈমান ও আমলে সালেহার অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদেরকে দেশ ও জাতির মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দানের জন্য তৈরী করতে হবে। দুনিয়ার মোহ আর বৈষয়িক চাওয়া পাওয়া কে পায়ে দলে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন  মুক্তির বিষয়কে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হিসাবে স্থির করতে হবে। আর এটাই হচেছ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রকৃত সফলতা।

আজ (১৮ মার্চ) শনিবার নগরীর হোটেল গার্ডেন ইনে খেলাফত মজলিস সিলেট জোনের আয়োজিত তরবিয়তী মজলিসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জোনাল ইনচার্জ মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে তরবিয়তী মজলিসে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাসউদ খান।  কুরাআনের দারস পেশ করেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব ডাঃ এ এ তাওসিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ বজলুর রহমান, মাওলানা আহমদ বিলাল।

সংগঠনের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সিলেট জোনের সহকারী ইনচার্জ অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের পরিচালনায় সিলেট বিভাগের জেলা ও মহানগর শাখার দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত তরবিয়তী মজলিসে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা ইমাম উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মোজাদ্দেদ আলী, সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নেহাল আহমদ, সিলেট মহানগরী সভাপতি হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সারওয়ার আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আখতার হোসাইন প্রমূখ।