| |
               

মূল পাতা জাতীয় কমপক্ষে সাধারণ আসনের ১০ শতাংশে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি


কমপক্ষে সাধারণ আসনের ১০ শতাংশে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি


রহমত নিউজ ডেস্ক     23 January, 2023     10:34 PM    


সাধারণ আসনে রাজনৈতিক দলগুলো নারীদের মনোনয়ন কম দেয় বলে সংরক্ষিত আসনে তারা যেতে বাধ্য হন। তাই কমপক্ষে ১০ শতাংশ সাধারণ আসনে নারীদের মনোনয়নের দাবি করেছেন নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার সভানেত্রী ফরিদা আখতার বলেছেন, বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে যতগুলো সংসদ নির্বাচন হয়েছে, নারী আন্দোলন ততবারই সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখনও এই আসনগুলো ৩০০ আসনের নির্বাচিত সদস্য দিয়েই ৫০টি সংরক্ষিত আসনের নারীদের মনোনীত করা হচ্ছে, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে না এবং দেশে নারী ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

আজ (২৩ জানুয়ারি) সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার উদ্যোগে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন— বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরি, কথাসাহিত্যিক নুর কামরুন নাহার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান এবং নারীপক্ষের সদস্য জাহানারা খাতুনসহ প্রমুখ।

নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার সহসভানেত্রী সীমা দাস সীমু বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছোট বড় রাজনৈতিক দল ও জোট কাজ করছে। রাষ্ট্র সংস্কার, সংবিধান সংস্কার এমনকি একেবারেই নতুন করে সংবিধান রচনার প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে— মূলধারার বিরোধী দল এবং প্রগতিশীল দল এবং জোট কেউই সংবিধানে নারী আসন সংক্রান্ত পুরুষতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে কোনও টু শব্দটি করছে না। এমন অবস্থায় নারী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে আমরা আগেও ভূমিকা রেখেছি, এখনও তা অব্যাহত রাখছি।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছরের বেশি হয়েছে। আইন প্রণয়নের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে রাষ্ট্র নারীর প্রতি অন্যায়, বৈষম্যমূলক, নিপীড়নমূলক আচরণ করে যাচ্ছে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে। এখনও ১৯৭২ সালের মতো নারীদের অবস্থান নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। তাদের অংশগ্রহণ বাড়াবার বাধা দূর করতে হবে। আমরা জানি, সংবিধানের শুরু থেকে নারীদের সাধারণ আসনেই নির্বাচন করার জন্যে প্রস্তুতি হিসেবে এই নিয়ম করা হয়েছিল, কিন্তু পরোক্ষ নির্বাচনের বিধান নারীদের পঙ্গু করে দিয়েছে। তাদের মাথা তুলে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। তারা সংসদে সেকেন্ড ক্লাস সদস্য হয়ে থাকছেন। জাতীয় সংসদেই নারীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।’