| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না : ফখরুল


তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না : ফখরুল


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 November, 2022     05:46 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিদায় দেখতে চায়। বর্তমান সরকার দেশের ট্রেজারি খালি করে দিয়েছে, ফোকলা করে দিয়েছে। তিনি একটি গবেষণা সংস্থার তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, গত ১০ বছরে দেশ থেকে ৮৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া, কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হবে। আমাদেরকে ’৭১ সালের মতো আরেকটি যুদ্ধ করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

আজ (২৬ নভেম্বর) শনিবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, সারাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, যারা তাকে বলে প্রধানমন্ত্রী। আমরা বলি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। জোর করে দুইবার নির্বাচন করেছে। ২০১৪ আর ২০১৮। ২০১৪ তে কেউ ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। আর ২০১৮ তে আগের রাতেই নাকি ভোট শেষ। উনি নাকি আবার নির্বাচন করবেন। গত পরশু যাশোরে সভা করেছেন। সভায় তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ আসলে নাকি জনগণ শান্তি পায়। আর বলেছেন- আবার নৌকায় ভোট দেন। আব্বাস উদ্দিনের একটা গান আছে- ‘আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না।’ দেশের সব মানুষ এখন এই গান গাইতে শুরু করেছে। ভুলে যান, ওই নৌকার কথা ভুলে যান। এখন বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের বিদায় দেখতে চায়। সময় থাকতে মানে মানে কেটে পড়ুন। তা না হলে এদেশের মানুষ আপনাদের বিদায় করবে। গত ১৫ বছরে এই আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের যত অর্জন ছিল, যত স্বপ্ন ছিল সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছে, নষ্ট করে দিয়েছে। যেদিকে তাকাবেন খালি চুরি চুরি আর চুরি।

দুপুর ১২টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও এক ঘণ্টা আগে বেলা ১১টায় শুরু হয়।  বেলা ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন। এর মধ্য দিয়ে গণসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এর আগে শনিবার সকালে কুমিল্লা টমসম ব্রিজ থেকে সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার লম্বা এক মিছিল দেখা যায়। মিছিলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা অংশ নেন।