| |
               

মূল পাতা জাতীয় ভারতের সাথে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকতে চাই : নৌ প্রতিমন্ত্রী


ভারতের সাথে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকতে চাই : নৌ প্রতিমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     12 November, 2022     07:32 AM    


বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং আরো দৃঢ় হবে। আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে ভারতের সাথে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকতে চাই। সড়ক, নৌ ও আকাশ পথের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ আরো শক্তিশালী হবে। মেগা প্রকল্প থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে। 

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারসে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত মাল্টিমোডাল ওয়াটার সামিট-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের বস্ত্র, বাণিজ্য, শিল্প, কনজ্যুমার্স এফেয়ার্স, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রবিউশন মন্ত্রী পিযুষ গোয়াল, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়াল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ সচিব ড. সঞ্জীব রঞ্জন, ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুর্বেদ, ইয়োগা ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধাহ, হোমিওপ্যাথি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১-১২ নভেম্বর ভারতের উত্তরপ্রদেশের বেনারসে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়ালের আমন্ত্রণে প্রতিমন্ত্রী সম্মেলনে অংশ নেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে, ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে। আমরা গত এক দশকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এবং আরও অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প-১ গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে আমরা সাব-রিজিওনে একটি নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারব। সে লক্ষ্যে আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট, ট্রানজিট এবং সব ধরনের পণ্য ও কার্গোর আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য শুরু করেছি। ১৯৭২ সালে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের অধীনে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। পিআইডব্লিউটিটি’র অধীন ১০টি রুট চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হয়।  ভবিষ্যতে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমাদের নদীপথগুলোকে আরও কাজে লাগানোর অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশে অধিকাংশ এলাকায় রেলপথ রয়েছে। ভারতে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ রয়েছে। আমরা আমাদের সকল উৎস থেকে বেনিফিট পেতে চাই এবং সেজন্য দক্ষ এবং টেকসই যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করতে চাই।