আ’লীগ রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে : ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেক কষ্ট ও ঘাত-প্রতিঘাতের পরেও ১৯৯১ সালের পর একটা রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ সেটাকে নষ্ট করার জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাদের সঙ্গে সে সময় জাতীয় পার্টি ও জামায়াতও ছিল। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা সব সময় জনগণের জন্য রাজনীতি করি। জনগণের পক্ষে কাজ করি। তাই এক রাতে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পাস করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আমরা হেরে গেছি। কিন্তু সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন করিনি।

আজ (২৪ অক্টোবর) সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-আইইবি মিলনায়তনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন-জেডআরএফের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪ বার নির্বাচন হয়েছে, সেগুলা সুষ্ঠু এবং অবাধ বলেছে সবাই। কিন্তু যখনই আওয়ামী লীগ দেখেছে, ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তারা এতো খারাপ কাজ করতে শুরু করেছে, এখন আর জনগণ ভোট দেবে না, তখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দিল। তাদের সাহায্য করলেন বিচারপতি খায়রুল হক। তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দলীয়করণ করল। এভাবে তারা আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোও ধ্বংস করল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী খুব কষ্ট করে বলেছেন, পয়সাই নেই, বিদ্যুৎ দেব কোথা থেকে? আরে কিছুদিন আগেই তো বললেন, পয়সার কোনো অভাব নেই! ৪২ বিলিয়ন রিজার্ভ আছে। সেটা এখন গেলো কোথায়? অসহায় এ উপদেষ্টা বলেছেন, বিদ্যুৎ আমি দিনে দিতে পারব না, রাতে দেব। পত্রিকা কার্টুন দিয়েছে, অসহায় উপদেষ্টা, উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। এ হচ্ছে তাদের উন্নয়ন। এই হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এ হচ্ছে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানুষ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে। এই আওয়ামী লীগ বারবার বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে, ধ্বংস করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হাতে কলমে কাজ করেছেন। তারই উত্তরসূরি খালেদা জিয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের পতাকা তুলে ধরে সারাবাংলা ঘুরে বেরিয়েছেন। ৯ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন তিনি গৃহবন্দি। পতাকা কিন্তু থেমে নেই। আজ সেই পতাকা তুলে নিয়েছেন তাদেরই সন্তান তারেক রহমান। তিনি ৮ হাজার মাইল দূরে থেকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশের জনগণ জেগে উঠেছে।