| |
               

মূল পাতা রাজনীতি রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করতে হবে : টুকু


রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করতে হবে : টুকু


রহমত ডেস্ক     12 January, 2022     09:25 PM    


দলীয় নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যতক্ষণ না আমরা রাজপথকে প্রকম্পিত করতে পারব না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারব না। আমাদের গুলি খেতে হবে। রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করতে হবে। খালেদা জিয়া মুক্তির আন্দোলনে আমার দেশের মানুষের গুলি আমার শরীরে লাগে, তবে আমি গর্বিত শহিদ হব। এ সময় সবাইকে কাফনের কাপড় পরে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে সিলেটের টুকের বাজারে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মাহবুবুল হক চৌধুরী ও আবুল কাশেমের পরিচালনায় সমাবেশে, বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, তাহসিনা রুশদি লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন, বিএনপি নেতা ওমর ফারুক শাফিন প্রমুখ।

 টুকু বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝতে পারেন। তাই তো তিনি বাংলাদেশের মানুষকে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি সরকারে থাকার পর কেয়াটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, তিনি চাইলে সেদিন আন্দোলন দমিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ খালেদা জিয়া গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তিনি গণতন্ত্রের মা। খালেদা আজ পর্যন্ত যত জায়গা থেকে নির্বাচন করেছেন, সবগুলো নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন। আর খালেদা জিয়াকে যিনি বন্দী করে রেখেছেন, তিনি নির্বাচনে সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর মান্নানের কাছে পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। পরাজিত হওয়ার পর তিনি আর ঢাকায় নির্বাচন করেননি।

ইকবাল হাসান নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর কথা স্মরণ করে মঞ্চে থাকা ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী লুনাকে দেখিয়ে টুকু বলেন, ইলিয়াস আলী আমার খুব প্রিয়ভাজন ছিল। এই মহিলার অপরাধ কী? এই মহিলা স্বধবা নাকি বিধবা তা-ও জানেন না। তার সন্তানেরা জানে না ইলিয়াস আলি বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। তারা জীবিত ইলিয়াস আলীর জন্য দোয়া করবে নাকি মৃত ইলিয়াস আলীর জন্য দোয়া করবে তাও জানে না। খালেদা জিয়া মানুষের কথা বলেন। মানুষের অধিকারের কথা বলেন। মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে চান। মানুষকে ভোটের অধিকার দিতে চান বলেই এই সরকার তার কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে তাকে জেলে রেখে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। খালেদা জিয়া জীবনে কোনো দিন ভোট চুরি করেননি। এই সরকার ভোট চুরি করে। তারা দিনের ভোট রাতে দিয়েছে। পুলিশ বাহিনীসহ সবাই এই ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত।